শিরোনাম
◈ বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তার হবু বউকে ধর্ষণ ছাত্রদল নেতার! ◈ গণমামলা আর গণআসামির নেপথ্যে চাঁদাবাজি? ◈ সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করার জেরে তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতি - যা জানা যাচ্ছে ◈ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস ◈ গ্যাস সঙ্কটে ১৬২০ কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করছে সরকার ◈ সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতা-বিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ◈ প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে: এনবিআর  ◈ জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত সরকারের, আমরা প্রতিহত করবো: নুরুল হক (ভিডিও) ◈ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরুরি নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের শ্রেণিমুখী করতে

প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:১১ রাত
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হুমকিতে মহাকাশ নিরাপত্তা, পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে ১২০০ যন্ত্রাংশ

পৃথিবীর চারপাশে এখন প্রচুর স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ ঘুরছে। তবে এই মুহূর্তে সংখ্যাটি বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে।পৃথিবীর কক্ষপথে উপগ্রহ ও মহাকাশযানের জন্য বরাদ্দ স্থানগুলোর অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে মানুষের মহাকাশযাত্রার ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে — এমনই আশঙ্কাজনক তথ্য উঠে এসেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইসা )-এর এক নতুন স্পেস সেফটি রিপোর্টে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ভূপৃষ্ঠের নিকটবর্তী অক্ষ (এলইও)-এ বাণিজ্যিক স্যাটেলাইটের সংখ্যা ও ব্যাপ্তি বাড়ছে। আর এই কক্ষপথে এখন প্রতিদিন গড়ে তিনবারেরও বেশি স্যাটেলাইট বা রকেটের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশ করছে। গত বছর এমন ১২০০ বস্তু পৃথিবীতে পড়েছে। 

সংস্থাটি জানায়, ২০২৪ সালেই প্রায় ১২০০ টি সম্পূর্ণ বস্তু (যেমন রকেট বডি ও পুরনো স্যাটেলাইট) পৃথিবীতে পুনঃপ্রবেশ করেছে। সৌর সক্রিয়তার মাত্রা, নতুন উৎক্ষেপণের চাপ, আর উপগ্রহের সংখ্যা বৃদ্ধি — সবকিছু মিলিয়ে মহাকাশের নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে।  

তারা বলছে, বর্তমানে ১ সেন্টিমিটারের চেয়েও বড় ১২ লাখের বেশি বস্তু পৃথিবীর কক্ষপথে ভেসে বেড়াচ্ছে, যেগুলো ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস ) বা কার্যকর উপগ্রহগুলোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

রিপোর্টটি সতর্ক করেছে যে, এখন যদি সব মহাকাশ কার্যক্রম বন্ধও করে দেওয়া হয়, তবু কক্ষপথে আবর্জনা কমবে না। বরং ‘ফ্র্যাগমেন্টেশন ইভেন্ট’ বা সংঘর্ষের ফলে ধ্বংসাবশেষ বেড়েই চলবে।

এই পরিস্থিতিকে বিজ্ঞানীরা ‘কেসলার সিনড্রোম’ বলে আখ্যা দিয়েছে। ১৯৭৮ সালে নাসার বিজ্ঞানী ডোনাল্ড জে. কেসলার এই তত্ত্বটি দেন, যেখানে বলা হয়: কক্ষপথে বস্তুর ঘনত্ব একটি নির্দিষ্ট মাত্রা ছাড়ালে, একটির সঙ্গে আরেকটির সংঘর্ষ থেকে একটি চেইন রিঅ্যাকশন শুরু হতে পারে — যেটা পুরো কক্ষপথকেই মানব ব্যবহারের অযোগ্য করে তুলবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন হলে ভবিষ্যতে যোগাযোগ, আবহাওয়া পূর্বাভাস, ন্যাভিগেশন, এমনকি স্পেস মিশনও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই, এই মুহূর্তে মহাকাশের সুরক্ষা ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনার দিকে নজর না দিলে, মানবতার মহাকাশ যুগ হয়তো থেমে যেতে পারে এক বিশৃঙ্খল ধ্বংসস্তূপে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়