শিরোনাম
◈ গত অর্থবছরে ব্যয় সংকোচনে সরকারের ৫৬৮৯ কোটি টাকা সাশ্রয় ◈ মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ◈ যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমাতে চায় সরকার ◈ ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ◈ মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা আসছে আজ ◈ চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দক্ষিণ এশিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ, ভারতকে সতর্ক থাকার আহ্বান তিব্বতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাংয়ের ◈ সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে ◈ ক্যালিফোর্নিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তামাকের মতো সতর্কবার্তা প্রদর্শনের বিল অনুমোদন ◈ লন্ডনে এক লাখেরও বেশি মানুষের অভিবাসনবিরোধী সমাবেশ, পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে আহত ২৬ কর্মকর্তা ◈ কক্সবাজারে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর তার সামনে স্বামীকে হত্যা

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১১:৩৯ দুপুর
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

৩৯ জন স্ত্রী আর ৯৪ সন্তান নিয়ে ১০০ কামরার ‘প্রাসাদে’ থাকতেন ‘বিশ্বের বৃহত্তম পরিবারের’ কর্তা!

এল আর বাদল : উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজ়োরাম। পাহাড়ি এই রাজ্যের বাকতাওয়াং গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন জিয়ংহাকা ওরফে জিয়ন। সেই গ্রামের অধিকাংশ অধিবাসীই ছিলেন জিয়নের পরিবারের সদস্য। ১০০ ঘরের একটি চারতলা ‘প্রাসাদে’ পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন জিয়ন। পরিবার বলতে মাত্র ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ জন সন্তান-সন্ততি!

প্রথম বিয়ে ১৭ বছর বয়সে। অর্থাৎ, সাবালক হওয়ার আগেই সংসার পেতেছিলেন জিয়ন। জিয়নের সংসারে ধীরে ধীরে স্থান করে নিয়েছিলেন আরও ৩৮ জন তরুণী। ১৯৪৫ সালে জন্ম হয় তাঁর। জিয়নের প্রথম স্ত্রী জাথিয়াঙ্গি ছিলেন তাঁর থেকে তিন বছরের বড়। তার পর থেকে একের পর এক বিয়ে করে গিয়েছেন তিনি।

মিজ়োরামের রাজধানী আইজ়ল থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরের গ্রামটিতে জিয়ন তাঁর স্ত্রীদের নিয়ে একই ছাদের নীচে সংসার করতেন। প্রতি স্ত্রীর জন্য পৃথক কক্ষের ব্যবস্থা করেছিলেন জিয়ন। তিনি নিজেও তাঁদের সঙ্গে বাস করতেন ওই একই বাড়িতে। তাঁর ঘরের লাগোয়া ঘরেই থাকতেন স্ত্রীরা।

শুধু ৩৯ জন স্ত্রী নন, জিয়ন রেখে গিয়েছেন ৯৪ জন সন্তান, ১৪ জন পুত্রবধূ এবং ৩৩ জন নাতি-নাতনি। রেখে গিয়েছেন বলার কারণ হল ২০২১ সালে ৭৬ বছর বয়সে প্রয়াত হন ‘বিশ্বের বৃহত্তম পরিবার’-এর কর্তা জিয়ন।

জিয়নের ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। তিন দিন ধরে বাকতাওয়াং গ্রামে বাড়িতেই চিকিৎসা চলেছিল তাঁর। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে আনার কিছু ক্ষণ পরেই তাঁর মৃত্যু ঘটে।

অনেক সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিশ্বে আর কারও এত জন স্ত্রী নেই। বাকতাওয়াং গ্রামে তাঁর চারতলা বাড়িটি পর্যটকদের কাছে একটা আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। ২০১১ ও ২০১৩ সালে জনপ্রিয় পত্রিকা ‘রিপ্লে’জ় বিলিভ ইট অর নট’-এ স্থান পেয়েছিল এই পরিবার।

Xএক জনপ্রিয় ভারতীয় পণ্যের বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল জিয়নের পরিবার। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জীবনযাত্রা, জিয়নের অন্দরমহলের চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল সেই বিজ্ঞাপনে।

জিয়নের পরিবারটি ‘চানা পাওল’ নামের একটি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। এই সম্প্রদায়ের ২ হাজার অনুসারী রয়েছেন। এই সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জিয়নেরই ঠাকুরদা। ১৯৪২ সালে সম্প্রদায়টির গোড়াপত্তন হয়। চানা সম্প্রদায়ে বহুবিবাহের অনুমতি রয়েছে।

জিয়নের দাদুর পরে বংশানুক্রমিক ভাবে সম্প্রদায়ের নেতা হন জিয়নের বাবা। ১৯৯৭ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর, উত্তরসূরি হিসাবে এই সম্প্রদায়ের নেতা হন জিয়ন। তিনি এক বছরের মধ্যে ১০ জন নারীকে বিয়ে করেন। ২০০৫ সালে শেষ বারের মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জিয়ন। তাঁর কনিষ্ঠতম স্ত্রীর বয়স ছিল ২৫ বছর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়