শিরোনাম
◈ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেন জামায়াত আমির ◈ জুলাই সনদের দাবি: দ্বিতীয় দিনের মতো অবরুদ্ধ শাহবাগ, যানজটে ভোগান্তি (ভিডিও) ◈ ঐকমত্য কমিশনের ৮২৬ সুপারিশের মধ্যে ৭৭৫টিতে একমত বিএনপি, জানালেন সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ ২০ শতাংশ শুল্ক সরকারের আরেকটি সফলতা : আসিফ নজরুল ◈ ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ মানচিত্রে উদ্বেগ, যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ◈ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে  সিরিজ শুরু পাকিস্তানের ◈ পটুয়াখালীর বাউফলে পরকীয়া সন্দেহে শিক্ষক স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা ◈ আটকে পড়া বাংলাদেশি কর্মীদের সুখবর দিলো মালয়েশিয়া, বোয়েসেলের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের নতুন সিদ্ধান্ত ◈ বাঙালিদের যদি অত্যাচার ও অবহেলা করা হয়, তাহলে এটি যথেষ্ট আপত্তিকর: অমর্ত্য সেন (ভিডিও) ◈ গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা অপু গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ৩১ জুলাই, ২০২৫, ০৭:২৯ বিকাল
আপডেট : ০১ আগস্ট, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন মির্জা ফখরুল,আমি আসলে মাঝে মাঝে একটু ইমোশনাল হয়ে পড়ি

মনিরুল ইসলাম: আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে  জাতীয় প্রেসক্লাবে জুলাই- আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়েন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার কথা ভারি হয়ে আসে। অনুষ্ঠানস্থলে এক নিরবতার পরিবেশ তৈরি হয়। উপস্থিত সবার মির্জা  ফখরুলের আবেগময় বক্তব্য শুনেন।

মির্জা ফখরুল বলেন,  আজকে এখানে একজন মা তার ছেলে ছবি দেখালেন যে শহীদ হয়ে গেছে। আরেকটা ছোট ছেলে গতকাল আশুলিয়ার অনুষ্ঠানে আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলছে, ওর বয়স ৬/৭ বছর হবে। আমার মাথাটা না খুলিটা নেই। খুলিটা প্লাস্টিকের। অর্থাৎ  গুলিতে তার মাথার খুলি চলে গিয়েছিলো।পরে ডাক্তার সাহেবরা সেটাকে প্লাস্টিক দিয়ে আর্টিফিশিয়াল খুলি তৈরি করে লাগিয়ে দিয়েছে। এর চেয়ে বড় ত্যাগ আর কি হতে পারে?।

এসময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আসলে মাঝে মাঝে একটু ইমোশনাল হয়ে পড়ি। এটার প্রাইস যেটা আমরা পে করেছিএটা যদি সঠিকভাবে করতে না পারি তাহলে ওই শিশুদের সামনে, আমার বোনের সামনে, মায়েরসামনে তাহলে আমরা জাতির সঙ্গে নিঃসন্দেহে একটা বড় প্রতারণা করব। আমি আশা করব সেইপথে আমাদের যেতে হবে না। নিসন্দেহে  আমরা সামনের দিকে একটা সুন্দর বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।

তিনি স্মৃতিচারণ করে ২০১৪ সালে জাতীয় প্রেসক্লাবের একদিন অবরুদ্ধ থাকার পর গ্রেফতার হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আমার অভিজ্ঞতাজানতে চেয়েছিলেন,সেই অভিজ্ঞতা আমি আর বর্ণনা করতে চাই না। কারণ সেটা আমার জন্যে সুখের নয়, আনন্দের নয়। তবে এটাকে ওইসময়ে স্বাভাবিক মনে করেছি।

যখন আমি ক্লাবের গেইটের বাইরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোহার বড় বড় হাতুড়ি দিয়ে গাড়িটাকে পেটানো শুরু হলো আমার তখন ওই মুহুর্তে মনে হয়েছিলো যে, আর বোধহয় জীবন্ত অবস্থায় আমি ফিরে যেতে পারব না।

যাই হোকে ফিরে এসেছি…. আপনাদের সামনে কথা বলছি। আমরা যারা গুটিকতক সৌভাগ্যবান যারা এখনো আমরা বেঁচে আছি, আপনাদের সাথে বলার সুযোগ পাচ্ছি আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, এই যে বোন কথা বললেন, উনার কান্না কি করে বন্ধ করতে পারি, উনি যে শিশুটির ছবি দেখালেন যে শহীদ হয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়