বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের জানিয়েছেন, আইনি ভিত্তি না দিলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না তার দল। কারণ নির্বাচিত সরকার এসে এটি আইনে রূপ দেবে তার নিশ্চয়তা নেই। তাই যা করার এখানই করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ২৩তম দিনের বৈঠকের মধ্যাহ্নে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির বক্তব্যের প্রসঙ্গে ডা. তাহের বলেন, তারা বলছেন সংসদে আইনের ভিত্তি দেবেন; তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য তার দৃষ্টান্ত আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি। গত ৫৪ বছরে কোনও সরকারই শপথের মর্যাদা রাখেনি। তাই আমরা বলবো, এখানই যদি আইন না হয়, তাহলে আমাদের এতদিনের আসা-যাওয়া ও সময় ব্যয় হওয়া সবই জিরো। তাই আমরা বলেছি, প্রয়োজনে আরও আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে অগ্রসর হতে।
জামায়াত সনদে স্বাক্ষর না করলে সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনও সংকট হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, লিগ্যাল স্বীকৃতি না থাকলে স্বাক্ষর করলেই কী আর না করলেই কী? সংকট হবেই।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, আইনি স্বীকৃতি দিতে সমস্যা কোথায়? যারা বলেন এর কোনও সুযোগ নেই, তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
তিনি জানান, সাংবিধানিক বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণের পক্ষে অধিকাংশ দল। আর বিএনপিসহ কয়েকটি দল বিপক্ষে ছিল। তারপরও শেষ পর্যন্ত নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে তারাও একমত হয়েছে। এ নিয়োগগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন।
আর সংসদের উচ্চকক্ষের বিষয় ডা. তাহের বলেন, আমরা উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে পূর্ণাঙ্গ পিআর চাই, যা হবে রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে। কারণ বিগত দিনগুলোতে অংশগ্রহণমূলক ভোট হয়নি। রাতে ভোট হয়েছে। তাই গ্রহণযোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেননি। আর পিআর পদ্ধতি তো অনেক দেশেই আছে। তাই আমরা মনে করি পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন না করার কোনও কারণ নেই।
ব্রিফিংকালে আরও ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ।