শিরোনাম
◈ ভাইসা আসি নাই, কথা বলার সময় মুখ সামলায় বলবা : আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (ভিডিও) ◈ ফোন হারিয়ে রেলস্টেশনে বিদেশির কান্না ভাইরাল, অভিযোগ পায়নি পুলিশ (ভিডিও) ◈ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সম্মতি, তবে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের দাবিতে অটল জামায়াত ◈ রিজার্ভ এখন ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার ◈ মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয় ◈ বাংলাদেশের মেয়েরা যেভা‌বে অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূলপর্বে  ◈ দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকা‌কে হা‌রি‌য়ে ত্রিদেশীয় সি‌রি‌জে চ‌্যা‌ম্পিয়ন বাংলা‌দেশের যুবারা ◈ তারেক রহমানের ঢাকায় বাড়ি নেই, তাই ভাড়া বাড়ি খুঁজছেন: আবদুস সালাম ◈ ভারত নির্ভরশীলতা থেকে বৈরিতা, চীন ও পাকিস্তানের সাথে নৈকট্য: অন্তর্বর্তী সরকারের কূটনৈতিক অর্জন কতটা? ◈ ভারতীয় বো‌র্ডের চা‌পে ওয়ানডে থেকেও অবসর নিচ্ছেন রোহিত শর্ম ও বিরাট কোহলি

প্রকাশিত : ১০ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:৫৯ রাত
আপডেট : ১১ আগস্ট, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসির প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ এনসিপিসহ ১৬ দল

নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করা তরুণদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১৬টি নতুন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

রবিবার (১০ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এনসিপিসহ ১৬টি দলকে আমরা মাঠ পর্যায়ে যাচাই বাছাইয়ের জন্য তালিকা করেছি।

সেখান থেকে তদন্ত রিপোর্ট আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে, নিবন্ধন চেয়ে ইসিতে আবেদন করা এনসিপিসহ ১৪৪টি দলের কোনোটিই প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এ জন্য সব কটি দলকেই ১৫ দিন সময় দিয়ে ঘাটতি পূরণের চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনপ্রত্যাশী দলগুলোকে আবেদন করার আহ্বান জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি।

তবে এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি দল আবেদন করলে ২২ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। ওই সময় পর্যন্ত ১৪৪টি দল ১৪৭টি আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে দলগুলোর সবার তথ্যেই ঘাটতি শনাক্ত হওয়ায় প্রথম ধাপে ৬২টি দলকে চিঠি দেওয়া হয়। আর দ্বিতীয় ধাপে এনসিপিসহ ৮২টি দলকে চিঠি দেওয়া হয়।

নিবন্ধনপ্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো বাছাই করে। এই বাছাইয়ে উত্তীর্ণ দলগুলোর তথ্যাবলি সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করে টিকে থাকা দলগুলোর বিষয়ে দাবি আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন। এরপর কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হয়। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করে ইসি।

নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজ প্রতীকে নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারে না।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করা হয়। এ জন্য জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) নতুন বিধান যুক্ত করা হয়।

ওই আইন অনুযায়ী, কোনো দলকে নিবন্ধন পেতে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কার্যালয় এবং অন্তত ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন (মহানগর) থানায় কার্যালয় থাকতে হবে এবং প্রতিটি কার্যালয়ে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে। সম্প্রতি এসব শর্তে পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেওয়া কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নিবন্ধন পেতে একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে। অন্তত এক-দশমাংশ জেলায় কার্যকর জেলা কার্যালয় এবং অন্তত ৫ শতাংশ উপজেলায় বা ক্ষেত্রমতে মেট্রোপলিটন থানায় কার্যকর কার্যালয় থাকতে হবে। দলের সদস্য হিসেবে ন্যূনতম পাঁচ হাজার ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে। কিন্তু এই সুপারিশ অনুসারে আরপিওর সংশ্লিষ্ট বিধান সংশোধন না হওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন বিদ্যমান আইন অনুসারেই দল নিবন্ধনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনে এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তী সময়ে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করা হয়। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী সম্প্রতি তাদের নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে। আর অন্য নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আদালতের নির্দেশে এবি পার্টি নিবন্ধন পায়। এ ছাড়া নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য এবং গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) ও বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের তথ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পেতে নতুন ৯৩টি দল আবেদন করে। এর মধ্যে ভুঁইফোড় দল হিসেবে পরিচিত দুটি দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দেলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে নিবন্ধন দেয় তৎকলীন নির্বাচন কমিশন। তার আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে শর্ত পূরণ না করার কারণ দেখিয়ে আবেদন করা ৭৬টি দলের কোনোটিকেই নিবন্ধন দেয়নি ইসি। পরে ২০১৯ সালে ববি হাজ্জাজের দল এনডিএম আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়