ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, প্রধান সড়কগুলোতে যেন ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল না করে তার কড়া বার্তা দিতে আজ তিনটি রিকশা ভাঙ্গা হয়েছিল। এজন্য রিকশা তিনটির চালকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থার উদ্যোগও নিয়েছে ডিএনসিসি।
মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজের এক পোস্টে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।
পোস্টে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘আজকে যে তিনজনের রিকশা ভাংগা হয়েছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে। মেইন রোডে না আসার জন্য, ও কড়া মেসেজিং দেওয়ার জন্য তিনটি রিকশা ভাংগা হয়েছিলো। আমরা পরিবারগুলোর আয়ের বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি।’
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ডিএনসিসির যৌথভাবে ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ডিএনসিসি। অভিযানে মূলসড়কে চলাচলরত আনুমানিক ১০০টিরও বেশি ব্যাটারি চালিত রিকশা জব্দের পাশাপাশি তিনটি রিকশা ভাঙ্গা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে সাংবাদিকদের ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বর্তমানে ২০ শতাংশ দুর্ঘটনা এই ব্যাটারি চালিত রিকশা কারণে হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শহরের নারী ও শিশুরা। এগুলো কোনো নীতিমালা বা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয় নাই। প্রায়ই দেখা যায় পথচারীদের ওপর উঠে যাচ্ছে, অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
তিনি জানান, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ও সড়কে গণপরিবহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরতে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বুয়েটের সহায়তায় ইতোমধ্যে ব্যাটারি চালিত নিরাপদ রিকশা নকশা প্রস্তুত করে কয়েকটি কোম্পানিকে প্রস্তুতের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএনসিসি প্রশাসক।
মোহাম্মদ এজাজ আরও বলেন, এই মাসের মধ্যে ডিএনসিসি রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। প্রশিক্ষণ শেষে উত্তীর্ণরাই বৈধ লাইসেন্স পাবে এবং অনুমোদিত কোম্পানির তৈরি রিকশা শহরের নির্দিষ্ট এলাকায় চালাতে পারবে। এক এলাকার বৈধ রিক্সাও অন্য এলাকায় যেতে পারবে না। যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ভাড়া ও নির্ধারিত থাকবে।