জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযান শুরু করে ভারত। অভিযানে যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পাকিস্তানের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালানো হয়। এরপরই পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। দু’দেশের মধ্যে সংঘাত চলে টানা চারদিন ধরে। এসব হামলায় প্রাণ হারানো সেনা সদস্যদের সংখ্যা জানিয়েছে ভারত।
রোববার (১১ মে) এনডিটিভির খবরে বলা হয়, এক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সংঘাতে তাদের পাঁচজন সৈন্য নিহত হয়েছে। নিহত সহকর্মীদের আত্মত্যাগ সর্বদা স্মরণ করা হবে বলে জানায় দেশটির সেনাবাহিনী।
এ ছাড়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণরেখায় কামান ও ছোট অস্ত্রের গুলিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ্য থেকে আরও জানানো হয়, ‘আমাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল সন্ত্রাস-কেন্দ্রিক এবং পরবর্তীতে যখন তারা (পাকিস্তান) আমাদের অবকাঠামোতে বিমান অনুপ্রবেশ এবং অভিযান শুরু করে, তখন আমরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার শুরু করেছি।’
ভারতের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই শনিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে ভারত। দেশটির সেনাবাহিনী সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যদি আজ রাতে বা পরে কোনও সময়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে তার "কঠোর জবাব" দেবে তারা।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পেহেলগামে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিল পর্যটক। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলে অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান। হামলার প্রায় দুই সপ্তাহ পর, ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করে।
এরপর ড্রোন এবং অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তানও হামলা চালাতে থাকে। পরে পাকিস্তানে ড্রোন হামলার পাশাপাশি দেশটির একাধিক বিমানঘাঁটিতে হামলা করলে ভারতের সামরিক ঘাঁটি ও বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার উদ্দেশ্যে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ অভিযান শুরু করে পাকিস্তান।