শিরোনাম
◈ টাকা ফেরাতে আইন, প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়ে জোর দিচ্ছে সরকার ◈ দুর্বৃত্তের হামলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে ঢাবি শিক্ষার্থী নিহত ◈ যেসব এলাকায় বুধবার বিদ্যুৎ থাকবে না জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি ◈ ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধে কড়া বার্তা: তিন রিকশা ভাঙচুর, চালকদের ক্ষতিপূরণ ও বিকল্প আয়ের আশ্বাস ◈ যে কারণে বাংলাদেশে বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিলো কলকাতার অভিনেতা শাশ্বতকে! (ভিডিও) ◈ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার : প্রেস সচিব ◈ আ. লীগের নিবন্ধন বাতিলের পর সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি উঠেছে, নেতারা এখন কি করবে?  ◈ প‌রি‌স্থি‌তি স্বাভা‌বিক, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের নতুন সূচি প্রকাশ ◈ ভারত আবার বাড়াবা‌ড়ি কর‌লে আমরা চুপ থাকবো না: শহীদ আফ্রিদি ◈ ভারত শাসিত কাশ্মীরে আবারও বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ৩

প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০২৫, ০৩:৪৩ রাত
আপডেট : ১৪ মে, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টাকা ফেরাতে আইন, প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়ে জোর দিচ্ছে সরকার

বিদেশে পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ১১ ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে পাচারের টাকা শনাক্ত ও ফেরানোর কাজে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর কাজের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। বিদেশে সম্পদ শনাক্ত ও ফেরানোর কাজের অগ্রগতি নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত এক জায়গায় সংরক্ষিত নেই। জালজালিয়াতি ঠেকানো ও শনাক্ত করতে আর্থিক লেনদেন আন্তর্জাতিক মানের ফরেনসিক অ্যাকাউন্টিং, ফরেনসিক অডিট, ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ এবং এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)ভিত্তিক মনিটরিং সিস্টমসের অভাব।

এমন বহুবিধ কারণে সব ক্ষেত্রে পাচার করা টাকা শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সরকার বহুমুখী কৌশল নিয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের আইন, অবকাঠামোগত দুর্বলতা আছে, এমন স্থানে দ্রুত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন আইন করা হচ্ছে। একটি শক্তিশালী তথ্যভান্ডার করা, সংশ্লিষ্ট কর্মীদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) ও সরকার গঠিত যৌথ তদন্ত দলের সমন্বিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে পাচার করা টাকা শনাক্ত ও ফেরানোর ক্ষেত্রে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে প্রতিবেদনটি পাচারসংক্রান্ত বিষয়ে যেসব সংস্থা কাজ করছে তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পাচারের টাকা শনাক্ত ও ফেরানোর কাজে নিয়োজিত সংস্থাগুলো কাজ করতে গিয়ে ১১ ধরনের প্রধান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এর মধ্যে পাচারের টাকা শনাক্ত ও ফেরানোর কাজে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা প্রকট। এক সংস্থা অন্য সংস্থার কাছে সব তথ্য দিচ্ছে না। দক্ষ ও জনবল সংকটের দোহাই দিয়ে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করছে না তদন্ত কাজে। অনেক সংস্থা তদন্ত কাজে শিথিলতা দেখাচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় কমিটি, ওয়ার্কিং কমিটিকে নিয়মিত সভা করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব কাজে আন্তঃসংস্থাবিষয়ক কোনো কার্যক্রম হাতে নিতে হলে আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সমন্বয় সাধনের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পাচারবিষয়ক সেন্ট্রাল অথরিটির সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও তদন্তকারী সংস্থাগুলোর অধিকতর সমন্বয় সাধনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থায় নির্দিষ্ট কর্মকাণ্ডে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


পাচারসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের আইনি সহায়তা নিতে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স (এমএলএআর) পাঠাতে হয়। বিদেশে এ ধরনের এমএলএআর পাঠানোর জন্য সেগুলো আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অভিজ্ঞ জনবলের অভাব রয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এমএলএআর তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে সংশ্লিষ্ট দেশের সহায়তা পেতেও আইনি বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি এমএলএআর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী করা হচ্ছে কিনা তা ট্র্যাকিংয়ের জন্য বিএফআইইউর এক কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

পাচারসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বিএফআইইউ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও সিআইডি কাজ করছে। সংস্থাগুলো পাচারসংক্রান্ত যেসব তথ্য পাচ্ছে সেগুলো নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কাছেই রাখছে। ফলে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য মিলছে না। এ সমস্যা সমাধানে সব সংস্থার পাচার করা সম্পদের তথ্য ও ফেরানোর কাজের অগ্রগতিসহ সব ধরনের পদক্ষেপ ও জটিলতার বিষয়গুলো বিএফআইইউতে থাকবে। এজন্য বিএফআইইউতে একটি তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা হবে। এই ভান্ডার থেকে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো যথাসময়ে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে। এতে কার্যক্রমে গতি আসবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে অর্থ পাচারসংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে পাওয়া একটি বড় সমস্যা। কারণ সব দেশের আইনই আমানতকারীর স্বার্থ রক্ষার পক্ষে। যে দেশে টাকা পাচার করা হয় ওই দেশে পাচারকারী আমানতকারী হিসাবে সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া পাচারকারীর সঠিক নাম, ঠিকানা পাওয়াও একটি সমস্যা। এসব কারণে পাচার করা অর্থ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে এগমন্ট গ্রুপের (মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রম নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা) সব সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে বিএফআইইউ কর্তৃক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্বের ১৭০টি দেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট এগমন্ট গ্রুপের সদস্য। ফলে এদের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্য চাইলে ১৭০টি দেশ থেকেই তথ্য পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮১টি দেশের সঙ্গে বিএফআইইউর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে এর মধ্যে যেসব দেশে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হচ্ছে ওইসব দেশ নেই।

সংশ্লিষ্ট দেশের নিজস্ব ভাষায় এমএলএআর পাঠানো হলে তারা দ্রুত সাড়া দেয়। এই প্রক্রিয়ায় ওই দেশের ভাষায় চিঠি চালাচালি করলে ভাষাগত সমস্যা হয় না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের ভাষায় এমএলএআর পাঠানোর ক্ষেত্রে দেশে স্বীকৃত পেশাদার অনুবাদক যেমন নেই, তেমনি প্রতিষ্ঠানেরও অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশি সংস্থাগুলোর কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তা নেওয়া হবে। এছাড়া দ্রুত যোগাযোগ করার জন্য ই-এমএলএআর প্রেরণের ব্যবস্থা চালুর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এমএলআর প্রেরণ ও জবাব প্রাপ্তি মনিটরিং করা ও এর জবাব দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএফআইইউর এক কর্মকর্তাকে।

এতে বলা হয়, মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্টেন্স চুক্তি (এমএলএটি) বর্তমানে শুধু ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আছে। অন্য কোনো দেশের সঙ্গে নেই। বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারকারী দেশগুলোর সঙ্গে এ চুক্তি করা সম্ভব হলে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পাচার করা টাকা শনাক্ত করতে তদন্ত করা, ফেরানোর ক্ষেত্রে আইনি সহায়তা পাওয়া যাবে। এ চুক্তি করতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ফরেন অফিস কনস্যুলেশন (এফওসি) বৈঠকের আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ওই দেশের সঙ্গে এমএলএটি সম্পাদনের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এজেন্ডাভুক্ত করার বিষয়ে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়. পাচার টাকার বিষয়ে আইনি সুবিধা নিতে এখন পর্যন্ত ১০টি দেশের সঙ্গে এমএলএটি চুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে-কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং ও চীন। এর মধ্যে হংকং ও চীনে চুক্তির কপি পাঠানো হয়েছে। তারা রিভাইসড চুক্তির পাশাপাশি আরও দুটি খসড়া চুক্তি পাঠিয়েছে। মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের নিজস্ব মডেলে চুক্তির কপি পাঠিয়েছে। পাচারের অর্থের গন্তব্য হিসাবে নতুনভাবে চিহ্নিত কতিপয় দেশ যথা-রাশিয়া, সাইপ্রাস আলবেনিয়া, ডোমেনিকা, কেম্যান, আইল্যান্ডস. স্লোভাকিয়া, জার্সি দ্বীপপুঞ্জ, সেন্ট কিডস অ্যান্ড নেভিস, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, আইল অব ম্যান ইত্যাদি দেশের সঙ্গে পারস্পরিক আইনগত সহায়তা চুক্তি সম্পাদনের জন্য দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কারণ এসব দেশেও এখন বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হচ্ছে। ঢাকায় অবস্থিত এসব দেশের দূতাবাসগুলোর সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে সভা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে এমএলএটি সম্পাদনের বিষয়টি ত্বরান্তিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।

পাচার করা টাকা শনাক্ত ও ফেরানোর কাজে আন্তর্জাতিকভাবে আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল এন্টি করাপশন কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (আইএসিসিসি)। সুইজারল্যান্ড ও জার্মানির যৌথ এটি। এই সংস্থার সদস্য হিসাবে রয়েছে প্রভাবশালী ছয়টি দেশের ১০টি তদন্ত সংস্থা। এগুলো হচ্ছে-অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ, নিউজিল্যান্ডের সিরিয়াস ফ্রড অফিস, নিউজিল্যান্ড পুলিশ, রয়েল কানাডিয়ান মাউনট্যান্ট পুলিশ, সিঙ্গাপুরের দুর্নীতিবিরোধী ব্যুরো, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক তদন্ত সংস্থা। এই সংস্থার পাচার সম্পদ শনাক্ত ও উদ্ধারে সহায়তা করলে সংশ্লিষ্ট ছয়টি দেশে পাচার করা সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এছাড়া তাদের প্রভাবের কারণে অন্যান্য দেশে পাচার করা সম্পদের তথ্যও তদন্ত করে শনাক্ত করতে পারে। আইএসিসিসির সঙ্গে বাংলাদেশের দুদকের প্রটোকল অব করাপশন চুক্তি সম্পাদন করা হলে দ্রুত আইনি সহায়তা পাওয়া যাবে। কিন্তু ওই সংস্থার সঙ্গে দুদকের চুক্তির ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে। এ কারণে দুদকের আইনের সংশ্লিষ্ট সেকশনের পরিবর্তন-পরিমার্জন অথবা দুদকের সংশ্লিষ্ট আইনের সংশোধন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

পাচারকৃত অর্থের উৎস, গন্তব্য ও লেনদেন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে চিহ্নিত করে আদালতে উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এগুলো সংগ্রহের জন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক মানের ফরেনসিক অ্যাকাউন্টিং, ফরেনসিক অডিট, ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ এবং এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক) লেনদেন মনিটরিং সিস্টেমস। কিন্তু দেশে এগুলো যথাযথভাবে চালু নেই। এগুলো দেশে চালু করার সম্ভাব্যতা যাচাই করা জরুরি। এতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী অর্থ পাচার শনাক্ত করা ও প্রমাণ সংগ্রহে দ্রুত সাড়া মিলবে। এজন্য প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। এছাড়া এ খাতে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহে ইন্টারপোলসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিশেষজ্ঞদের সহায়তা গ্রহণ করা যেতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পাচারকারীরা ছদ্মবেশী ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে, ক্রিপটোকারেন্সি বা শেল কোম্পানির মাধ্যমে ভুয়া হিসাব খুলে লেনদেন করে। এগুলো শনাক্ত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে জালজালিয়াতি শনাক্ত করতে ব্লকচেইন অ্যানালাইসিস টুলস ব্যবহার করে ক্রিপটোকারেন্সির লেনদেন মনিটরিং করা যেতে পারে। পাচারের জাল ভাঙতে এআইভিত্তিক সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্তকরণ সিস্টেমস (এসটিডিএস) চালুর সম্ভাবতা যাচাই করা যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিকাশমান প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করার সুপারিশ করা হয়েছে। উৎস: যুগান্তর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়