মহসিন কবির: গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার আওয়ামী লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপির নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করতে হবে। নিষিদ্ধ করতে হবে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, বিরোধী রাজনৈতিকদলের ওপর যেসব কর্মকাণ্ড করছে আওয়ামী লীগ। এবার সোটার ফল নিজেরাই ভোগ করছে। দল গেছে, নেতাকর্মীরা চাপে আছে। দলের প্রধান নেই, হাল ধরারও কেউ নেই। এতো বড় একটা হত্যাকাণ্ডের পর অনুশোচনা নেই আওয়ামী নেতাদের, উল্টো হুমকি দেয়। যার ফলে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলো। স্থগিত হলো নিবন্ধন। ফলে করতে পারবে নির্বাচন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে ফেরার জন্য দুই থেকে তিন বছর অপেক্ষা করার দরকার ছিলো। হুট করে মিছিল করা, শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়া, এনসিপি নেতাদের সঙ্গে মারামারি করার দরকার ছিলো না। ক্লিন ইমেজ আছে এমন নেতাদের রাজনীতিতে ফেরার যে একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিলো, সেটাও গেল। এখন অপেক্ষা করা ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আর কোন উপায় নেই।
এদিকে জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্ত সংস্থা। তিনি 'মাস্টারমাইন্ড, হুকুমদাতা ও সুপিরিয়র কমান্ডার' হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করেছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (১২ মে) রাতে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে বলে জানা গেছে। একই দিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেপ্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসি সচিব জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই প্রজ্ঞাপনের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপনটি জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ ও সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ক্ষমতাবলে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর ফলে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনগুলোর মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজন এবং প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক মাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচারণাসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকবে।
এর আগের দিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনটির অধ্যাদেশ সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারও আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে বর্তমান সরকার।
ইসির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা-১৮ (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই দলের এবং এর সব সংগঠনের যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল।
বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলের নিবন্ধন স্থগিত ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় গত বছরের ৫ আগস্ট। গণ-অভ্যুত্থানের সময় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গণহত্যা এবং আওয়ামী লীগের শাসনের সময়ে গুম-খুনের অভিযোগগুলোর বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে সরকার। এর পর রাজনৈতিক দলের বিচার এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশের বিধান রেখে গত রবিবার আইনটির সংশোধনীর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিবন্ধন ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। কারণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলের সব ধরনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকবে এবং এ প্রেক্ষাপটেই দলটির ইসির নিবন্ধন স্থগিতের ঘোষণা এলো।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে দেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এতে সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন ছিল। গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের পর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
এই দল এবং এর সব সংগঠনের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সব সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহুসংখ্যক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এসব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলো গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল আয়োজন, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ করছে। দলটির বিদেশে পলাতক তাদের নেত্রীসহ অন্য নেতাকর্মী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপরাধমূলক বক্তব্য প্রদান এবং প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের প্রচেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
দলটির নেতাকর্মীদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী ও সাক্ষী এবং জনমনে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। এতে সার্বিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দলটির নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করতে বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে সরকারের কাছে প্রমাণ রয়েছে।
এসব কারণে সরকার যুক্তিসঙ্গতভাবে মনে করে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা-১৮ (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সমীচীন। তাই ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলোর যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক মাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচার, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের আলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা : এর আগের দিন গত রবিবার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা সত্তার (সংগঠন) যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। আগের আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে ওই ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারত বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারত। তবে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান ছিল না। নতুন অধ্যাদেশে বলা হয়Ñ সত্তার যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা যাবে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী, ‘সত্তা’ বলতে কোনো আইনি প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক বা অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠী, অংশীদারি কারবার, সমবায় সমিতিসহ এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত যে কোনো সংগঠনকে বোঝায়।
প্রজ্ঞাপন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি : আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধসংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের ব্যাপারে গতকাল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞা অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মী ও সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে উক্ত প্রজ্ঞাপন অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মুক্তমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন্ন করবে না। আওয়ামী লীগ, এর কোনো কর্মকাণ্ড, দলটি সম্পর্কে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদেেক্ষপের যৌক্তিক, গঠনমূলক বা আইনানুগ বিশ্লেষণ বা মতামত প্রদান এই প্রজ্ঞাপন দ্বারা খর্ব করা হয়নি।
প্রেক্ষাপট ও নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাতভর বিক্ষোভ সংঘটিত হয় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে। পরের দিন শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বিক্ষোভকারীরা সমাবেশ করতে শাহবাগে যান। সেখানে অবস্থান নেন এনসিপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের ব্যক্তিরা। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে জরুরি বৈঠক করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এর পর সংবাদ সম্মেলন করে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ওই জরুরি বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়। সেই আলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন করা হয় পরের দিন রোববার। এতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারে কোনো রাজনৈতিক দল ও তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারার বিধান যুক্ত হয়। বৈঠকে বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করল অন্তর্বর্তী সরকার।