উদ্ভিদটিকে মিমোসা বা কোনো কোনো অঞ্চলে স্থানীয় ভাষায় জাদুকরী উদ্ভিদ বা ‘টাচ মি নট’ও বলা হয়। আয়ুর্বেদে লজ্জাবতী গাছের নানা উপকারিতার কথা বিস্তারিত বর্ণনা করা রয়েছে। এই গাছটি আঘাত, পেট ব্যাথা, পাইলস ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঔষধি রূপে ব্যবহার করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লজ্জাবতী এমন একটি উদ্ভিদ, যা সব ঋতুতেই পাওয়া যায়।
একে চিরহরিৎ উদ্ভিদও বলা হয়। এই গাছ গ্রামাঞ্চলে যেকোনো স্থানে বা শহরাঞ্চলে ছোট ছোট খাল-বিল ইত্যাদির চারপাশে জন্ম নেয়। এর অনেক ঔষধি গুণ বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন লজ্জাবতী পাতা পেটে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং ডায়রিয়া কমাতে ব্যবহার করা হয়।
লজ্জাবতী গাছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা রোগীর শরীরের ইনসুলিন নিঃসরণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। যাদের মৃগীরোগ রয়েছে তারাও এই গাছ থেকে উপকার পেতে পারেন। এই গাছের পাতায় প্রদাহ-বিরোধী গুণ রয়েছে, যা ব্যথা বা ক্ষত উপশমে সাহায্য করে।
শরীরের কোথাও আঘাত লাগলে বা শরীরের কোনো অংশ ফুলে গেলে এই পাতার রস লাগালে ফোলা ভাব কমবে, আরামও পাওয়া যাবে।
লজ্জাবতী গাছের মূলের পেস্ট বা এর বীজ গুঁড়া করে লাগালেও ফোলাভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
যাদের পাইলসের সমস্যা রয়েছে তারা লজ্জাবতী পাতা পিষে তার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে উপকার পাবেন।
বর্তমানে অনেকেরই অ্যালোপেসিয়ার সমস্যা রয়েছে। এটি একটি চুল পড়ার রোগ। এই অবস্থায় রোগীর বয়সের বিচার না করেই চুল ঝরে পড়তে থাকে।
লজ্জাবতী এই রোগের চিকিৎসাতেও সমান সহায়ক।
এর মূলের ক্বাথ বানিয়ে পান করলেও নানা উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে যাদের সুগারের সমস্যা রয়েছে তারা এই গাছের মূলের ক্বাথ বানিয়ে পান করতে পারেন।
যাদের পেটে পাথরের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে লজ্জাবতীর শিকড় সকাল-সন্ধ্যা পিষে রস বের করে পান করলে পেটে পাথরের সমস্যা দূর হবে।
সূত্র : নিউজ ১৮