শিরোনাম
◈ শেখ হাসিনার দুঃশাসনে খালেদা জিয়ার ওপর নেমেছিল নিপীড়নের ঝড়: তারেক রহমান ◈ মনোনয়ন পেলেন বিএনপির ১১ নারী প্রার্থী, কে কোন আসনে? ◈ পর্তুগালের নতুন আইন, অভিবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ  ◈ নির্বাচনের তফসিল এখনো চূড়ান্ত নয়—গণমাধ্যমকে সতর্ক করলেন ইসি সচিব ◈ ব্রাদার্স ইউ‌নিয়ন‌কে ৫-১ গো‌লে হারা‌লো বসুন্ধরা কিংস  ◈ নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়  'ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ'  ◈ একইদিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট: প্রস্তুত ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র, ঝুঁকিপূর্ণ ৮ হাজারের বেশি ◈ কাতার নয়, খালেদার জন্য জার্মানি থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ◈ চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে: মির্জা ফখরুল ◈ দুর্যোগ মোকাবিলায় ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা শক্তিশালী করতে সরকারের নতুন পরিকল্পনা

প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৮:২৭ সকাল
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভাতের বদলে আটার রুটি খেলেও ওজন বাড়তে পারে, পুষ্টিবিদদের সতর্কতা

ভাতের বদলে রুটি খাচ্ছেন, তাতেও ওজন বাড়ছে? তাই ওজন কমাতে এখন অনেকেই ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজে আসছে না। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলছেন— আটার রুটি মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং বেশি খেলে শুধু ওজনই নয়, বাড়বে সুগারও।

 ধারণা এমন— ভাতের বদলে রুটি খেলে ওজন বাড়বে না। কিন্তু চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বলেছেন, রুটি খাওয়া ভালো, কিন্তু আটার রুটি বেশি খেলে ওজন যেমন বাড়বে, ঠিক তেমনই রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যাবে। ডায়াবেটিসে যদি ভাত খাওয়া বন্ধ করে শুধু রুটি খেতে শুরু করেন, তাহলে সুগার আরও বেড়ে যাবে।

তাই ওজন কমাতে কার্বোহাইড্রেট কম খেতে বলেছেন পুষ্টিবিদরা। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলেছেন, ভাত অল্প করে দুই বেলা খেলে ক্ষতি নেই। পরিমাণ মেপে খেলে হজমও হবে; আবার ক্যালোরিও বাড়বে না। কিন্তু যদি ভাতের বদলে দুই বেলা ৫-৬টি করে আটার রুটি খেতে শুরু করেন, তাহলে ওজন দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। সাদা আটা বা ময়দার রুটি বেশি খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তবে বাঙালি বাড়িতে রাগি বা বাজরার রুটি সাধারণত হয় না। তাই আটার রুটি খেলে কম খেতে হবে। সারা দিনে ৩-৪টি খাওয়া যেতে পারে, এর বেশি নয়। আর রুটির সঙ্গে সবজি কম মসলায় রান্না তরকারিই খাওয়া খুবই ভালো।

রুটি কেন কাঠগড়ায়?

এখন অনেকেরই মনে হতে পারে, যারা রুটি খান, তাদের সবারই কি ওজন বেশি? তা নয়; তবে স্থূলত্ব থাকলে রুটি কিংবা ভাত যা-ই খান না কেন, তার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের রোগীদের রুটি কিংবা ভাত মেপেই খাওয়া উচিত। কারণ আটা কিংবা ময়দা প্রক্রিয়াজাত। প্যাকেটজাত যেসব আটা কিংবা ময়দা দোকানে পাওয়া যায়, সেগুলোকে পরিশোধনের জন্য এত বেশি বার প্রক্রিয়াকরণ করা হয় যে, এর থেকে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার বেরিয়ে যায়। সেই আটা কিংবা ময়দার রুটি খেলে তখন তা আর কোনো কাজেই আসে না। উল্টে চর্বি হয়ে জমা হতে থাকে। পরিশোধিত শস্য দ্রুত হজম হয় এবং দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পরিশোধিত আটা কিংবা ময়দার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও বেশি। তাই খুব বেশি পরিমাণে খেলে ওজনও বাড়বে, সুগারও বাড়বে।

ওজন কমাতে যে খাবার খাওয়া উচিত 

ওজন কমাতে অনেকটাই নিরাপদ হচ্ছে জোয়ার, বাজরা, রাগি বা ওটসের রুটি। কারণ জোয়ারের রুটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এ ছাড়া পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। তাই জোয়ারের রুটি খেলে শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি মেটে যায়। 

ওজন বেশি হলে বাজরার রুটি খান, খুবই ভালো। এতে ক্যালোরির মাত্রা কম। ওজন কমানোর সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে বাজরার রুটি। আর রাগিতে আয়রন থাকে বেশি। রাগির রুটি খেলে রক্তল্পতার সমস্যা মিটে যায়। আর ওজন ঝরানোর পরিকল্পনায় প্রতিদিনের ডায়েটে রাগির রুটি রাখতে পারেন। ওটসেও ফাইবার বেশি থাকে। আটার বদলে ওটসের রুটি খেলে ওজন দ্রুত কমে যায়।

সূত্র: যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়