গাজায় অনাহার এবং তীব্র খাদ্য সংকটে এখন পর্যন্ত ৩৭০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৩১ জনই শিশু। হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এরপরেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত চলছেই।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে তিনজন অনাহারে প্রাণ হারিয়েছে। এদিকে বেশ কিছু মেডিক্যাল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজাজুড়ে কমপক্ষে ৩১ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এরমধ্যে ১৯ জনই গাজা সিটির। এছাড়া আরও চারজন ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলের গুলিতে নিহত হয়েছে।
হামাস জানিয়েছে যে, তারা গাজা পরিচালনার জন্য একটি স্বাধীন জাতীয় প্রশাসন গঠন এবং একটি ব্যাপক যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য প্রস্তুত। এই চুক্তির আওতায় সব ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় হামাসের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তার মন্ত্রিসভার নির্ধারিত শর্তে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হতে পারে।
ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরের প্রায় সব অংশকে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন এবং নেতানিয়াহুর অনুমোদনের আহ্বান জানিয়েছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজাজুড়ে কমপক্ষে ৬৩ হাজার ৭৪৬ জন নিহত এবং ১ হাজার ৬১ হাজার ২৪৫ জন আহত হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় মোট ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়।