যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী শুল্কনীতিকে দেশটির নিম্ন আদালত অবৈধ বলার পর, ওই রায় বাতিলের জন্য সর্বোচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে দায়ের করা ওই পিটিশনে বিচারকদের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বিদেশি রাষ্ট্রের ওপর এ ধরনের শুল্ক আরোপের এখতিয়ার প্রেসিডেন্টের রয়েছে মর্মে রায় দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
গত সপ্তাহে এক মার্কিন আদালতের রায়ে বলা হয়, জরুরি অর্থনৈতিক আইনের বলে দেদারসে শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। অথচ শুল্ক প্রয়োগের এখতিয়ার কেবল কংগ্রেসের রয়েছে।
এই রায় টিকে গেলে ট্রাম্পের আর্থিক ও পররাষ্ট্রনীতি হুমকির মুখে পড়তে পারে। এমনকি, ক্ষতিপূরণ হিসেবে শত শত কোটি ডলার ফেরত দিতে বাধ্য হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
নিজের শুল্কনীতির সাফাই গাইতে আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইনকে সামনে এনেছেন ট্রাম্প। 'অস্বাভাবিক' হুমকি মোকাবিলায় প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমতার অধিকার বিবৃত হয়েছে ওই আইনে।
এপ্রিল মাসে ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থায় রয়েছে। দাবির স্বপক্ষে তার যুক্তি ছিল, অন্যান্য দেশের সঙ্গে ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতির কারণে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা জাতীয় নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
এদিকে, ট্রাম্পের শুল্ককে অবৈধ বললেও সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। এই সুযোগে আপিল দায়ের করে ট্রাম্প প্রশাসন। সর্বোচ্চ আদালত যদি পর্যালোচনার আবেদন খারিজ করে, তবে নিম্ন আদালতের রায় ১৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে, মে মাসে নিউ ইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত ট্রাম্পের শুল্ককে অবৈধ ঘোষণা করেছিল। তবে আপিল প্রক্রিয়ার সময় ওই রায়ও স্থগিত রাখা হয়।