শিরোনাম
◈ চালক-যাত্রীদের অনুরোধেও সড়ক ছাড়েননি ছাত্র-জনতা ◈ আজ সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছাবে ওসমান হাদির মরদেহ, শনিবার জানাজা ◈ তারেক রহমানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে যে দুই ইস্যু ◈ যেভাবে বিপ্লবী হয়ে উঠেছিলেন শরিফ ওসমান হাদি ◈ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ শাহবাগে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে যোগ দিলেন নাহিদ-আসিফ (ভিডিও) ◈ হাদির মৃত্যু: চট্টগ্রামে নওফেলের বাড়িতে আগুন-ভাঙচুর ◈ কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ দেশে ফিরলে তারেক রহমানকে এসএসএফের নিরাপত্তা দেবে সরকার ◈ ‘ভাইয়া আমার বাচ্চাটারে একটু দেইখেন’—বলে কেঁদেছিলেন হাদি (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:০৪ সকাল
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:০৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চালক-যাত্রীদের অনুরোধেও সড়ক ছাড়েননি ছাত্র-জনতা

ওসমান হাদীর হত্যার বিচার এবং জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে টানা পাঁচ ঘণ্টা ধরে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে ছাত্র-জনতা।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত শনির আখড়া ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় এই ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হওয়ায় মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ সময় চালক ও যাত্রীদের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও অবরোধ তুলে নেওয়া হয়নি।

তবে মানবিক দিক বিবেচনায় অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। প্রয়োজনে অসুস্থ রোগী বহনকারী যানবাহন দ্রুত পার করে দেওয়া হচ্ছে।

অবরোধের কারণে ঢাকা মুখী ও চট্টগ্রাম মুখী দুই লেনেই কয়েক কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও প্রাইভেটকার ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

অনেক যাত্রী নিরুপায় হয়ে বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। কেউ কেউ শিশুকে কোলে নিয়ে, আবার কেউ লাগেজ হাতে নিয়ে হাঁটতে থাকেন। দীর্ঘ সময় যানবাহনে আটকে পড়ায় যাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ পায়। অনেক বাসে খাবার ও পানির সংকটও দেখা দেয়।

চট্টগ্রামগামী এক যাত্রী মো. সোলেমান বলেন, পাঁচ ঘণ্টা ধরে রাস্তায় বসে আছি। কখন যাব, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু আমাদের দুর্ভোগের দিকে কেউ তাকাচ্ছে না।

তবে ঘটনাস্থলে কোথাও ট্রাফিক পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়