তপু সরকার হারুন জেলা প্রতিনিধি শেরপুরঃ- শেরপুরে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পানির তোড়ে ভেসে গেছে ১০টি কাঁচা-পাকা ঘর। ঝিনাইগাতী বাজারে ডুবে গেছে ঝিনাইগাতী-শেরপুর আঞ্চলিক সড়ক। সোমেশ্বরী নদীর দুপাড়ে কয়েকশ বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে মালামাল নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ও উপজেলা সদর বাজারে পানি প্রবেশ শুরু করে। এসময় উপজেলার পূর্ব খৈলকুড়া গ্রামের সাত্তার মিয়া, বারেক মিয়া, বাচ্চু মিয়া, রহিম মিয়া, আমিনুল বাড়িসহ সাত-আটটি বাড়ি ভেঙে চলে যায়। এছাড়া সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধানশাইল ইউনিয়নের কাড়াগাঁও-ধানশাইল সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, গত তিন দিনের টানা বর্ষণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের পানি শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার ফলে চারটি ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের শত শত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ মাত্র এক মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি সংস্কার করা হয়। তবে নিম্নমানের কাজের ফলে বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার অংশ পানির তোড়ে বিলীন হয়ে ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইইএনও) মো. আশরাফুল ইসলাম রাসেলের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ইতোমধ্যে মহারশী নদী রক্ষা বাঁধের কাজ চলমান। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। আমাদের যথেষ্ট বন্যা দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও গো-খাদ্য মজুত রয়েছে। পানি নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।