সাবেত আহমেদ, গোপালগঞ্জ: [২] ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্স ও ইন্টার্ন মিডওয়াইফদের ইন্টার্ন ভাতা চালুর দাবিতে মানবন্ধন কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করেছে গোপালগঞ্জে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ইন্টার্ন নার্স ও ইন্টার্ন মিডওয়াইফরা। দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে একাত্মতা ঘোষণা করে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
[৩] আজ মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল ১১টায় গোপালগঞ্জে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে হাতে হাত ধরে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে ইন্টার্ন নার্স ও ইন্টার্ন মিডওয়াইফরা। এসময় ভাতা চালুর দাবিতে বিভিন্ন ধরনের লেখা প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন তারা।
[৪] কর্মবিরতি ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সুস্মিতা মিত্র বলেন, গোপালগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে তিন বছর মেয়াদী “ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি” এবং “ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াফারি” কোর্স সম্পন্ন করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ইন্টার্ন নার্স হিসেবে কর্মরত আছি। কিন্তু আমরা কোন ইন্টার্নী ভাতা পাচ্ছি না। হাসপাতালে ইন্টার্নী করে বাইরের হাসপাতালে কাজ করাও অসম্ভব। দ্রুত ইন্টার্ন ভাতা চালুর দাবী জানাচ্ছি।
[৫] তুষার মোড়ল বলেন, কোর্স কারিকুলাম অনুযায়ী ৬ মাস মেয়াদি ইন্টার্নশীপ শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, শিক্ষা শাখার ২০২২ সালের ০৭ আগস্ট তারিখে প্রকাশিত ১৮০ নং স্মারকে প্রশাসনিক অনুমতি পায়। সে প্রেক্ষিতে এ অধিদপ্তরের পরের মাসে ২৯ তারিখে ৫২০ নং স্মারকে ইন্টার্ন স্যালারি মঞ্জুরির জন্য (ডিজিএনএম) থেকে পত্র প্রেরণ করা হয়। পরবর্তিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ বাজেট অধিশাখার ১৩ অক্টোবর তারিখে ৭৯৪ নং স্মারক পত্রে চাহিত তথ্যাদি অধিদপ্তরের ২৬ অক্টোবর তারিখে ৬০১ নং স্মারক পত্রে প্রেরণ করা হয়। পরের বছরের ২৬ জুলাই তারিখে (ডিজিএনএম) থেকে ৩৬২ নং স্মারকে ইন্টার্ন স্যালারি বরাদ্দ ও মঞ্জুরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুনরায় অনুরোধ জানিয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা আমাদের ইন্টার্ন স্যালারির জন্য কোনো বরাদ্দ পাইনি।
[৬] সায়মা আফরিন বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন আমরা ইন্টার্নী ভাতা পাবো, আর এটা আমাদের অধিকার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজার, বাসা ভাড়া, থাকা- খাওয়া, যাতায়াত, হাত খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। পড়াশোনা শেষ করে ইন্টার্নশীপ করা অবস্থায় বাসা থেকে টাকা এনে ইন্টার্নশীপ করাটা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। খরচ চালাতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভাতা না পাওয়া পযর্ন্ত আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি চালিয়ে যাবো। সম্পাদনা; এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস