জাহিদুল হক, মানিকগঞ্জ: [২] স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জাতিসংঘের এবারের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিষয়ের অনেক দিক নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সাথে সভা হয়েছে। সারাবিশ্বে করোনা মহামারি হয়েছে, আগামীতে কোনো ধরণের মহামারি আসলে তা কি উপায়ে প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে।
[৩] স্বাস্থ্যের অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে যক্ষার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের দেশে আগের চেয়ে এখন প্রায় ৫০ ভাগ যক্ষা রোগী কমে গেছে। যক্ষার শতভাগ নির্মূলের ব্যাপারে আমরা দেশে কাজ করে যাচ্ছি।
[৪] শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় মানিকগঞ্জ সদরে চান্দর গ্রামে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিজ বাসভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
[৪] মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যে যক্ষা, চক্ষু ও কমিউনিটি ক্লিনিক বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব একটি উদ্যোগ, সেটি জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে। যেটার নাম শেখ হাসিনা ইনিসেয়েটিভ। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে এবং তাকে আহবান করা হয়েছে গ্লোবাল হেলস্থ ফোরামের কো-চেয়ারম্যান হতে।
[৫] তিনি বলেন, কিউবাতেও আমরা গিয়েছিলাম আপনারা জানেন। সেখানে ৭৭টি দেশের সঙ্গে সভা হয়েছে। সেখানে প্রযুক্তির মাধ্যমে কিভাবে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করা যায়। জাতিসংঘের এই সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ ভালোভাবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনায় অংশ নিতে পেরেছে।
[৬] স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু স্থিতি আছে, আর ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি আছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখন প্রায় নয় হাজার রোগী চিকিৎিসাধীন আছে। ডেঙ্গু চিকিৎসায় এখন স্যালাইনেরে কোনো ঘাটতি নেই। তবে জনসাধারণের সচেতনতা বাড়াতে হবে। অনেক সময় দেরি করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাতে ক্ষতি হয়ে যায় রোগীর। আশা করছি ধীরে ধীরে আমাদের দেশে ডেঙ্গু কমে যাবে।
[৭] আগামী নির্বাচনের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন। সামনেও আশা করি জনগণ তাকে নির্বাচিত করবে। আমরা গত ১০ বছরে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। দেশের বড় বড় সব প্রকল্পই বাস্তবায়ন হয়েছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
প্রতিনিধি/টিএবি/এনএইচ