কোমরের ব্যথা কমাতে ঘরোয়া পরিচর্যা, ব্যায়াম ও অভ্যাসে পরিবর্তন অনেকটাই সাহায্য করে। নিচে সহজ কিছু উপায় দেখে নিন-
তাৎক্ষণিক উপশমের জন্য
১. গরম সেঁক: হালকা গরম পানির ব্যাগ বা হট ওয়াটার ব্যাগ কোমরে ১৫–২০ মিনিট ধরে লাগান। এতে পেশি শিথিল করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
২. ঠান্ডা সেঁক: নতুন ব্যথা বা ফোলা থাকলে বরফ কাপড়ে মুড়ে ১০–১৫ মিনিট লাগাতে পারেন।
৩. বিশ্রাম নিন কিন্তু পুরো দিন শুয়ে থাকবেন না: বেশি সময় বিছানায় থাকলে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। হালকা নড়াচড়া বজায় রাখুন।
আরও পড়ুন: হার্টের অসুখ থাকলে ডার্ক চকলেট কতটা উপকারী?
নিয়মিত ব্যথা কমানোর ব্যায়াম-
ব্যথা অসহ্য হলে আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
ক্যাট-কাউ স্ট্রেচ: পিঠ বাঁকিয়ে ও সোজা করে ধীরে ধীরে নড়াচড়া।
হাঁটু বুকে টান: পিঠে শুয়ে এক পা বা দুই পা বুকের দিকে টেনে ধরুন ১৫–২০ সেকেন্ড।
পেলভিক টিল্ট: পিঠে শুয়ে হাঁটু মোড়ানো অবস্থায় পেট ও কোমরের পেশি টানুন।
ব্রিজ পোজ: হাঁটু ভাঁজ করে কোমর উপরের দিকে উঠিয়ে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন।
জীবনযাপনে পরিবর্তন
১. চেয়ারে বা মেঝেতে সোজা হয়ে বসুন। কুঁজো হয়ে বসা এড়িয়ে চলুন।
২. ভারী জিনিস তোলার সময় হাঁটু বাঁকিয়ে তুলুন, কোমর না বাঁকিয়ে।
৩. দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন বা হালকা ব্যায়াম করুন।
৪. ওজন বেশি হলে ধীরে ধীরে কমানোর চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন: আক্কেল দাঁতের ব্যথা কমানোর তাৎক্ষণিক উপায়
ঘরোয়া উপায়-
১. মেথি, আদা বা হলুদের তৈরি পানীয় প্রদাহ কমাতে সহায়ক হতে পারে।
২. সরিষার তেল বা অলিভ অয়েল হালকা গরম করে মালিশ করলে আরাম মিলতে পারে।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
১. ব্যথা ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে
২. পা অবশ বা ঝিনঝিনি করলে
৩. প্রস্রাব-পায়খানায় সমস্যা হলে
৪. দুর্ঘটনা বা পড়ে যাওয়ার পর ব্যথা শুরু হলে