শিরোনাম
◈ ডাকসু নির্বাচন: ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর শেষ দিনের প্রচারণা ◈ শিশুদের ডায়াবেটিস— ভবিষ্যতের জন্য বড় সতর্কবার্তা ◈ জামায়াত আমিরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, হলো যে আলোচনা ◈ নির্বাচন নিয়ে কিছু ব্যক্তি অযাচিতভাবে শঙ্কা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশে চলছে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, রক্তিম রূপ ধারণ করেছে ‘চিরচেনা চাঁদ’ (ভিডিও) ◈ শেরপুরে দোজা পীরের পরিত্যক্ত  ভবন থেকে নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার ◈ ইনসাফের পক্ষে থাকলেই সে এনসিপির—হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ রাশিয়ার ক্যানসার ভ্যাকসিন ট্রায়ালে সফল ◈ আরও বাড়লো স্বর্ণের দাম ◈ নতুন কূপের সন্ধান হবিগঞ্জে, মিলবে ২৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কিডনি নাকি পেশির ব্যথা, বুঝবেন যেভাবে?

আমাদের শরীরে কিডনি দুটি নীরব ঘাতকের মতো কাজ করতে পারে। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই কিডনির সমস্যা যখন ধরা পড়ে, তখন তা বেশ গুরুতর পর্যায়ে চলে যায়। অথচ সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগের নিরাময় সম্ভব। তাই, কিডনির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের স্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা করা উচিত নয়।

পেটে বা পিঠে ব্যথা হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা, যা গ্যাস, ভুল ভঙ্গিতে বসা বা শোয়ার কারণে হতে পারে। কিন্তু সব ব্যথা সাধারণ নয়। কিছু ব্যথা কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এই পার্থক্য বোঝা খুবই জরুরি, কারণ শুধু ব্যথানাশক খেয়ে ব্যথা কমানো যথেষ্ট নয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

চলুন, জেনে নিই কীভাবে বুঝবেন আপনার ব্যথাটি কিডনির সমস্যা থেকে হচ্ছে কি না।

ব্যথার স্থান এবং প্রকৃতি
১. ব্যথার অবস্থান: সাধারণ কোমর ব্যথা মেরুদণ্ডের ঠিক মাঝখানে হয় এবং নিতম্ব থেকে উরু পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু কিডনির ব্যথা এর থেকে ভিন্ন হয়। এটি সাধারণত পাঁজরের শেষ অংশের নিচে, পিঠের এক পাশে হয়। এই ব্যথা কোমরের পাশ দিয়ে তলপেটেও ছড়িয়ে যেতে পারে।

২. ব্যথার ধরন: পেশির ব্যথা বিশ্রাম নিলে বা আরাম করে বসলে কমে যায়। কিন্তু কিডনির ব্যথা একটানা হয়। আপনি যেভাবেই বসেন বা শোন না কেন, ব্যথা কমার পরিবর্তে আরও তীব্র হতে পারে। ওষুধে সাময়িক আরাম মিললেও মূল সমস্যা থেকে যায়।

৩. ব্যথার অনুভূতি: পেশিতে ব্যথা হলে চাপ দিলে বা পেশি প্রসারিত করলে যন্ত্রণা বাড়ে। কিডনির ব্যথা হলে বাইরে থেকে চাপ দিলে তেমন কোনো ব্যথা বোঝা যায় না, কিন্তু ভেতরে একটি তীব্র যন্ত্রণা অনুভূত হতে থাকে।

অন্যান্য লক্ষণ
ব্যথার পাশাপাশি কিছু অন্য লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি। যেমন—

(ক) কোমরের নিচের দিক ফুলে যাওয়া।

(খ) প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথা হওয়া।

(গ) প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন।

(ঘ) হঠাৎ করে পেটের এক পাশে তীব্র ব্যথা শুরু হওয়া (যা কিডনিতে পাথর থাকার লক্ষণ হতে পারে)।

যদি উপরের লক্ষণগুলো দেখা যায় এবং ব্যথা নিজে থেকে না কমে, তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা রোগটিকে গুরুতর হতে বাধা দেবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়