সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপে চুমুক দেয়া অনেকেরই অভ্যাস। কেউ কেউ সকালে চায়ের সঙ্গে বিস্কুট দিয়ে নাশতা কিংবা নাশতার পর চা পান করেন, অফিসে কাজের ফাঁকে বা দুপুরে খাবারের পর, বিকেলে হালকা নাশতায় কিংবা রাতে খাবার খাওয়ার পর ঘুমাতে যাওয়ার আগে চা পান করেন। বন্ধু-বান্ধব কিংবা সহকর্মীদের সঙ্গেও চা পান করা হয়।
পছন্দের এই পানীয় নিয়েই অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাদের প্রশ্ন। চা-এর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান চিনি নিয়েই যত দ্বিধা, প্রশ্ন―চায়ে চিনি মেশানো হলে কী সুগার বাড়ে, ডায়াবেটিস হয়?
চায়ে চিনি খাওয়া হলে সুগার বাড়ে কিনা, সেটি নির্ভর করছে বিভিন্ন বিষয়ের পর। বিশেষ করে আপনি যদি একজন ডায়াবেটিসের রোগী হন এবং দিনে কী পরিমাণ চিনি খাচ্ছেন সেটির ওপর।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনি বেশি খাওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিস হওয়ার সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার ডায়াবেটিস হওয়ার ক্ষেত্রে পরোক্ষ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে থাকে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক একে আজাদ খান জানিয়েছেন, চিনি খাওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিস হওয়ার যেমন সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই, এটা যেমন সত্য। আবার আপনি যদি মিষ্টি বেশি খেতে অভ্যস্ত হন, তাহলে স্বাস্থ্য বেড়ে যেতে পারে। আর স্বাস্থ্য বাড়লে পরোক্ষভাবে ডায়াবেটিস হতে ভূমিকা রাখে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট মেডিক্যাল নিউজ টুডে জানিয়েছে, বেশি পরিমাণে চিনি খাওয়ার কারণে সরাসরি ডায়াবেটিস হয় না। তবে এটি স্থূলতা, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। এতে সহজেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন ওই ব্যক্তি।