পুকুরে সাঁতার কেটে এসে কিংবা অনেকক্ষণ ধরে কাপড় কাঁচার পর আমরা লক্ষ্য করি, আমাদের হাত বা পায়ের আঙুলগুলো কেমন যেন কুঁচকে যায়, ঠিক যেন ছোট ছোট কিশমিশের মতো।
কিন্তু শরীরের অন্য অংশে পানি লাগলে তো ত্বক এভাবে কুঁচকে যায় না, তাহলে পানিতে কিছুক্ষণ ভিজলেই শুধু হাত ও পায়ের আঙুলেই এমন কেন হয়?
এই ছোট্ট অথচ রহস্যময় পরিবর্তনের পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে হাজারো বছর পুরোনো বিবর্তনের চিহ্ন। আবার, হতে পারে এটি আমাদের শরীরে বাসা বাঁধা কোনো অসুখেরও প্রাথমিক ইঙ্গিত।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, আঙুল যতবারই পানিতে ভিজে কুঁচকে যাক না কেন, প্রতিবার সেই কুঁচকানো ত্বকের রেখার প্যাটার্ন একেবারে একইরকম থাকে। এই রেখার প্যাটার্নই বিজ্ঞানীদের মনে আরও নতুন নতুন প্রশ্ন জাগাচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, আঙুলের এই পরিবর্তন আমাদের জিনগত বিবর্তনের একটি অংশ হতে পারে। পানিতে থাকা অবস্থায় জিনিসপত্র ধরতে বা স্থির থাকতে এই কুঁচকে যাওয়া ত্বক সাহায্য করে।
তবে এখানেই শেষ নয়—এই কুঁচকে যাওয়া আঙুল আমাদের স্বাস্থ্য নিয়েও কিছু ইঙ্গিত দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যদি আঙুলের কুঁচকানোর ধরনে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, তাহলে সেটি হতে পারে টাইপ-টু ডায়াবেটিস, স্নায়ুর জটিলতা, সিস্টিক ফাইব্রোসিস কিংবা হৃদ্রোগের পূর্বাভাস।
কেন কুঁচকে যায় আমাদের আঙুল?
গরম পানিতে হাত ডুবিয়ে রাখলে প্রায় সাড়ে তিন মিনিট পর থেকেই আঙুলের ডগায় কুঁচকে যাওয়া শুরু হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ফারেনহাইট) তাপমাত্রা এই প্রক্রিয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। তবে ঠান্ডা পানিতে—যেমন ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে—এটা হতে সময় লাগে প্রায় ১০ মিনিট। সাধারণত, পুরোপুরি কুঁচকে যেতে সময় লাগে ৩০ মিনিটের মতো।
আবার গবেষণায় দেখা গেছে, গরম ভিনেগারে হাত ভিজিয়ে রাখলে মাত্র চার মিনিটেই আঙুল কুঁচকে যায়!
অনেক দিন ধরেই মনে করা হতো, এটি কেবলই একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রতিক্রিয়া। পানি ত্বকের উপরের স্তরে ঢুকে কোষে প্রবেশ করে—অসমোসিস প্রক্রিয়ায়। ফলে চামড়া ফুলে উঠে ও বাইরে থেকে কুঁচকানো দেখায়।
কিন্তু এটি কি আসলে এতটাই সোজাসাপ্টা একটি বিষয়?
১৯৩৫ সালেই বিজ্ঞানীরা নতুন এক ব্যখ্যা সামনে নিয়ে আসেন, আঙুল কুঁচকে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত স্নায়ুতন্ত্রের জটিল কার্যপ্রক্রিয়াও। তারা লক্ষ করেন, যেসব রোগীর হাতে আঘাত লেগে 'মিডিয়ান নার্ভ' কেটে গেছে, তাদের আঙুল পানিতে ভিজলেও কুঁচকে যায় না।
এই 'মিডিয়ান নার্ভ' হাতের কিছু পেশী নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রক্তনালীর সংকোচন ও ঘাম ঝরানোর মতো 'সিমপ্যাথেটিক' কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। এর মানে দাঁড়ায়, আঙুল কুঁচকে যাওয়া শুধু পানি আর চামড়ার প্রতিক্রিয়া নয়, এটি স্নায়ুতন্ত্রেরও নিয়ন্ত্রিত একটি প্রক্রিয়া।
এরপর ১৯৭০-এর দশকে চিকিৎসকেরা আরও কিছু গবেষণায় পানির সংস্পর্শে আঙুল কুঁচকে যাওয়ার পেছনে স্নায়ুর ভূমিকার প্রমাণ পান। তখন তারা প্রস্তাব দেন—হাহাত পানিতে ডুবিয়ে রাখলে আঙুলের প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝা যেতে পারে, শরীরের 'অটোনমিক নার্ভ সিস্টেমে' কোনো সমস্যা আছে কি না—এই নার্ভগুলোই নিয়ন্ত্রণ করে রক্তপ্রবাহ, ঘাম বা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মতো কাজ।
এরপর ২০০৩ সালে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের দুই নিউরোলজিস্ট, আইনার উইল্ডার-স্মিথ ও অ্যাডেলিন চাউ একটি পরীক্ষায় দেখেন—আঙুল কুঁচকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তপ্রবাহও কমে যাচ্ছে।
তারা স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে একটি অ্যানেস্থেটিক ক্রিম ব্যবহার করেন, যা সাময়িকভাবে রক্তনালী সংকুচিত করে। দেখা যায়, একই ধরনের কুঁচকানো সেখানে আবারো ঘটে।
ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির স্নায়ুবিজ্ঞানী নিক ডেভিস বলেন, 'যখন আঙুল কুঁচকে যায়, তখন লক্ষ্য করবেন আঙুলের ডগা ফ্যাকাশে হয়ে যায়—কারণ সেখানকার রক্তপ্রবাহ কমে যায়।'
উইল্ডার-স্মিথ ও তার সহকর্মীরা বলেন, হাত পানিতে ডুবলে আঙুলের ঘামগ্রন্থিগুলো খুলে যায়, পানি ত্বকে প্রবেশ করে। এতে চামড়ার ভেতরের লবণের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই পরিবর্তনের ফলে স্নায়ু সাড়া দেয়, ঘামগ্রন্থির চারপাশের রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে।
এর ফলে আঙুলের নরম টিস্যুর আয়তন কমে যায় এবং ওপরের ত্বক ভেতরের দিকে টেনে নিয়ে যায়—ফলে গঠন হয় কুঁচকে যাওয়া রেখা।
তবে এই রেখার ধরন সবার একরকম হয় না। তা নির্ভর করে আমাদের ত্বকের উপরের স্তর ইপিডার্মিস কীভাবে নিচের স্তরের সঙ্গে যুক্ত আছে, তার উপর।
আরও কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কুঁচকে যাওয়ার সাথে সাথে ত্বকের বাইরের স্তরও সামান্য ফুলে ওঠে। তবে শুধু অসমোসিস বা পানির কারণে ফুলে উঠলে, আঙুলের ত্বককে প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত স্ফীত হতে হতো, যাতে এ ধরনের ভাঁজ তৈরি হয়। এতে আঙুল বিশ্রীভাবে ফুলে উঠত।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই কুঁচকে যাওয়া আসলে দুই স্তরের যুগপৎ প্রতিক্রিয়া—বাইরের ত্বক সামান্য ফুলে ওঠে আর ভেতরের স্তর সংকুচিত হয়। ফলে খুব অল্প সময়েই তৈরি হয় স্পষ্ট রেখা।
স্পেনের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব কাতালোনিয়ার বায়োমেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পাবলো সায়েজ ভিনাস কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে এ প্রক্রিয়ার বিশ্লেষণ করেছেন।
তার মতে, 'স্বাভাবিক কুঁচকে যাওয়া দেখতে হলে ত্বকের দুই স্তরেই পরিবর্তন ঘটতে হবে। যদি স্নায়ুবিক প্রতিক্রিয়া না ঘটে—যেমনটা কিছু রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায়—তাহলে কুঁচকে যাওয়াও হয় না।'
অর্থাৎ, আমাদের আঙুলে এই পরিবর্তন নিছকই পানির সঙ্গে ত্বকের রসায়ন নয়—বরং স্নায়ুতন্ত্র-নিয়ন্ত্রিত এক সক্রিয় প্রতিক্রিয়া।
নিউরোসায়েন্টিস্ট নিক ডেভিস বলেন, 'যেহেতু শরীর এই প্রতিক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করছে, এর মানে নিশ্চয়ই এটা আমাদের কোনও না কোনও কাজে লাগে।'
পানিতে ভিজে কুঁচকে যায় আঙুল—এর পেছনে কি কোনো উপকারিতা আছে?
একদিন গোসল করার সময় নিউরোসায়েন্টিস্ট নিক ডেভিসের সন্তান জানতে চায়—'পানিতে হাত ভিজলেই কেন আঙুল কুঁচকে যায়?'
এই ছোট্ট প্রশ্নটাই গবেষকের মনে বড়সড় কৌতূহলের জন্ম দেয়। তিনি ভাবতে শুরু করেন—এটা কি নিছকই এক শারীরিক প্রতিক্রিয়া, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে কোনো উপকার?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তিনি ২০২০ সালে লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়ামে আসা ৫০০ স্বেচ্ছাসেবকের ওপর একটি পরীক্ষা চালান। সবাইকে একটি প্লাস্টিকের বস্তু ধরতে বলা হয় এবং পরিমাপ করা হয় কতটুকু শক্তি দিয়ে তারা বস্তুটি ধরছেন।
ফলাফল হলো, যাদের হাত পুরোপুরি শুকনো ছিল, তারা কম জোরেই বস্তুটা ভালোভাবে ধরতে পেরেছিলেন। আর যাদের হাত ভিজে ছিল, তাদের বেশি জোর লেগেছিল। কিন্তু যারা হাত ভিজিয়ে কুঁচকে গিয়েছিল, তাদের দরকার পড়েছিল মাঝারি মাত্রার জোর—কারণ কুঁচকে যাওয়া ত্বক ঘর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছিল।
নিক ডেভিস বলেন, 'এটাই স্পষ্ট—আঙুল কুঁচকে গেলে বস্তু ধরার সময় ঘর্ষণ বেড়ে যায়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, আমাদের আঙুল এই ঘর্ষণের পার্থক্য বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী কম জোর দিয়েও বস্তুটি শক্তভাবে ধরতে পারে।'
পরীক্ষায় ব্যবহৃত বস্তুগুলো ছিল কয়েকটা কয়েনের ওজনের মতো, তাই বেশি শক্তি লাগেনি। কিন্তু কঠিন কোনো কাজ, বিশেষ করে পানির মধ্যে, হলে এই অতিরিক্ত ঘর্ষণ অনেক কাজে লাগে।
নিক ডেভিস বলেন, 'যখন কম চাপ দিয়েই বস্তু ধরতে পারা যায়, তখন হাত কম ক্লান্ত হয়। তাই একই কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করা সম্ভব হয়।'
ডেভিসের এই গবেষণার ফলাফল অন্য গবেষণার সঙ্গেও মিল খুঁজে পেয়েছে। ২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা এক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কাচের মার্বেল আর মাছ ধরার সীসার ওজন এক পাত্র থেকে আরেক পাত্রে স্থানান্তর করতে বলেন।
ফলাফল বলছে, যাদের আঙুল ভেজা ছিল কিন্তু কুঁচকে উঠেনি, তারা পানির নিচের বস্তু স্থানান্তরে ১৭ শতাংশ বেশি সময় নিয়েছে।
কিন্তু যাদের আঙুল ভিজে কুঁচকে গিয়েছিল, তারা একই কাজ ১২ শতাংশ কম সময়ে সম্পন্ন করতে পেরেছে।
তবে, শুকনো বস্তু ধরার ক্ষেত্রে আঙুল কুঁচকানো বা না-কুঁচকানো—দুটোর সময়ের মধ্যে বিশেষ কোনও পার্থক্য দেখা যায়নি।
অভিযোজন নাকি শুধুই শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া?
এই কুঁচকে যাওয়া আদৌ আমাদের বিবর্তনের কোনো অভিযোজন কি না, তা নিয়ে এখনও বিতর্ক আছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, লবণপানিতে আঙুল খুবই ধীরে এবং তুলনামূলকভাবে কম কুঁচকে। এর কারণ সম্ভবত, লবণপানিতে চামড়া ও পরিবেশের মধ্যে লবণের পার্থক্য কম থাকে। ফলে লবণের ভারসাম্যের পরিবর্তন স্নায়ুকে ততটা উদ্দীপ্ত করতে পারে না।
অন্যদিকে, মিঠা পানিতে এই পার্থক্য বেশি হওয়ায় আঙুল দ্রুত এবং স্পষ্টভাবে কুঁচকে যায়।
তাই ধারণা করা হয়, এই বৈশিষ্ট্য আমাদের পূর্বপুরুষদের মিঠা পানির—যেমন নদী, হ্রদ বা জলাভূমি—পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করত। সমুদ্র উপকূলে এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না বলে মনে করা হয়।
তবে, এ ব্যাপারে একমত নয় সব বিজ্ঞানী।
অনেকেই মনে করেন, আঙুল কুঁচকে যাওয়া হয়তো কোনো বিবর্তনগত অভিযোজন নয়, বরং নিছকই এক শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া—যার বিশেষ কোনো উপকারিতা নেই, কেবল শরীরের এক আকস্মিক প্রতিক্রিয়া মাত্র।
কুঁচকে যাওয়া আঙুল আমাদের কী শেখায়?
আঙুল কুঁচকে যাওয়া নিয়ে আরও কিছু অদ্ভুত ও কৌতূহলজাগানিয়া বিষয় আছে। যেমন, দেখা গেছে—নারীদের তুলনায় পুরুষদের আঙুল একটু দ্রুত কুঁচকে যায়।
আর যদি ভিজে আঙুল কুঁচকে থাকা বস্তু ধরতে সাহায্য করে, শুকনো অবস্থায় কোনো অসুবিধা না হয়, তাহলে প্রশ্ন ওঠে—আঙুল কি সবসময় কুঁচকে থাকলেই ভালো হতো না?
সম্ভাব্য কারণ হচ্ছে, আঙুল কুঁচকে গেলে আমাদের স্পর্শ সংবেদন কিছুটা বদলে যায়। আঙুলের ত্বকে অনেক স্নায়ু থাকে, আর কুঁচকে যাওয়া হয়তো সেই সংবেদনকে প্রভাবিত করে।
তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে, এটির খুব একটা প্রভাব পড়ে না জিনিস চিনতে বা ধরতে পারার ক্ষেত্রে।
নিক ডেভিস বলছেন, 'অনেকেই কুঁচকে যাওয়া আঙুলে কিছু ধরতে অস্বস্তি বোধ করেন। কারণ তখন জিনিসগুলোর অনুভূতি ভিন্ন রকম হয়। হয়তো ত্বকের রিসেপটর একটু স্থানচ্যুত হয়, আবার মানসিক প্রভাবও থাকতে পারে। এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে—হয়তো কুঁচকে যাওয়া আঙুল দিয়ে কিছু কাজ আমরা কম দক্ষতার সঙ্গে করতে পারি।'
আঙুল কুঁচকে যাওয়া শুধু দৈনন্দিন জীবনের একটা ঘটনা নয়, চিকিৎসকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেতও হয়ে উঠেছে।
যেমন, ছত্রাকজনিত চর্মরোগ (পসোরিয়াসিস), শ্বেতী (ভিটিলিগো) মতো ত্বকের সমস্যায় আঙুল কুঁচকাতে বেশি সময় লাগে।
সিস্টিক ফাইব্রোসিস রোগীদের শুধু আঙুল নয়, হাতের তালুও অতিরিক্ত কুঁচকে যায়। এমনকি যারা শুধু রোগের বাহক, তাদের ক্ষেত্রেও এ ধরনের লক্ষণ দেখা গেছে।
টাইপ-টু ডায়াবেটিস আক্রান্ত অনেক রোগীর হাত পানিতে ভিজলেও কুঁচকে যাওয়ার প্রতিক্রিয়া খুবই কম। হৃদ্রোগীদের ক্ষেত্রেও এমন কম প্রতিক্রিয়া দেখা যায়—সম্ভবত স্নায়ু ও রক্তপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা থাকায়।
একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে—যদি এক হাতে অন্যের তুলনায় বেশি কুঁচকে যায়, তাহলে সেটা পারকিনসনস রোগের প্রথম লক্ষণ হতে পারে। কারণ, এটি বোঝায় দেহের একপাশে স্নায়ুতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়েছে।
তাই, আঙুল কেন পানি পেলে কুঁচকে যায়, তার চূড়ান্ত উত্তর এখনো মেলেনি। তবে এই কিশমিশের মতো যাওয়া আঙুল এখন চিকিৎসকদের হাতে এক নতুন পরীক্ষা ও রোগ নির্ণয়ের দরজা খুলে দিয়েছে।