সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে গত বছরই জানানো হয়েছে ২০২৬ সালে হজে এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা হবে দুই হাজার জন। তবে হজযাত্রীর কোটা না বাড়িয়ে এক হাজারই বহাল রাখতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শুক্রবার বিকালে সৌদি আরবের জেদ্দায় হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে সেদেশের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার ড. আল হাসান ইয়াহিয়া আল মানাখারার সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ জানান।
২০২৫ সালে সুশৃঙ্খল ও সাবলীল হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি এ বছরের হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অননুমোদিত হজ পালন বন্ধকরণ, হাজিদের যথাসময়ে নুসুক কার্ড সরবরাহ, মাশায়ের এলাকায় ঝামেলাহীন পরিবহণ সেবা ও নিবিড় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং মৃত্যুহার হ্রাসে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সৌদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা ২০২৬ সালের হজ ব্যবস্থাপনাকে সহজ ও মসৃণ করার ক্ষেত্রে কতিপয় পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। তিনি নুসুক মাসার ড্যাশবোর্ডকে তথ্যসমৃদ্ধ করা এবং এ তথ্য পরিবীক্ষণ ও যাচাইয়ের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ জানান। তিনি মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভসের মাধ্যমে হাজিদের ল্যাগেজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আরএফআইডি ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা, মাশায়ের এলাকায় টয়লেট সুবিধা বৃদ্ধি ও পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং মিনা ও আরাফার তাঁবুতে বেডের সাইজ বাড়ানোর জন্য সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেন। এছাড়া, হজের আবশ্যিক খরচ অগ্রীম ঘোষণা দেওয়া এবং হজযাত্রী পরিবহণে দুই দেশের জাতীয় ক্যারিয়ার বিমান বাংলাদেশ ও সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি তৃতীয় ক্যারিয়ার চালু করার বিষয়ে সৌদি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
ডেপুটি মিনিস্টার ড. আল হাসান বাংলাদেশের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশসমূহ মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং তা বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। তিনি বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনাকে আরো উন্নত ও রোডম্যাপ অনুসারে সকল কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পন্ন করার অনুরোধ জানান।
এ সময় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম, কনসাল (হজ) মো. আসলাম উদ্দিন ও সচিবের একান্ত সচিব মো. কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।