শাহীন খন্দকার: [২] ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু বাড়ছে সারাদেশে। ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৫৭৮ জন, জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময় মারা গেছেন বিশ জন।
[৩] জানুয়ারীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮৩ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৬০২ জন এবং মার্চে ৯৮৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে প্রকাশ, ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশী।
[৪] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিপিএম ই-হেলথ, এমআইএস ইনচার্জ ডা. মুহম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, চলতি বছর ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা শহরে ৫৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৬৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১৯১ জন, খুলনা বিভাগে ৯৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৮, রংপুর বিভাগে ১৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
[৫] ইতোমধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, আমরা প্রিভেনশন নেব। প্রতি ওয়ার্ডে মানুষকে সচেতন করবো, মানুষকে বোঝাবো যে ডেঙ্গু কিভাবে হয়।
[৬] গত বছর দেশে রেকর্ড পরিমাণ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে রেকর্ড হয়। গত বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন, মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
[৭] বাংলাদেশে সর্ব প্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয় ১৯৬০ সালের দিকে। এরপর কেটে গেছে চার দশক। ২০০০ সালের জুন মাসে ডেঙ্গু সর্বপ্রথম মহামারি আকারে দেখা দেয় বাংলাদেশে। সে বছর মোট ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে মারা যান ৯৩ জন। কম-বেশি প্রতি বছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে।
[৮] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের আগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায় কোভিডের আগের বছর ২০১৯ সালে। ওই বছর সারাদেশে মোট ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন এবং মারা যান ১৬৪ জন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :