মুরাদ হাসান: [২] ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে শুক্রবার বিকালে কলাপাড়ার কাছাকাছি হয়ে পায়রা ও মোংলা অতিক্রম করেছে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া শুরু হয় এবং চলে শুক্রবার রাত পর্যন্ত। এতে বসতবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
[৩] পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ বছর জেলায় ১ লাখ ৯০ হাজার ১১৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ থেকে ১৫ ভাগ আমন ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। যা জলমগ্ন ও কাদাতে আছে। যেসব ধান নুয়ে পড়েছে তার অধিকাংশ অপুষ্ট হবে এবং চিটায় পরিণত হবে ফলে উৎপাদনে এর প্রভাব পড়বে। এছাড়া শাকসবজি ও আগাম জাতের তরমুজ চাষাবাদেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
[৪] ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে আমন ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সদ্য অধিকাংশ ধান গাছ মাটিতে শুয়ে পরে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। জেলার জাতীয় গ্রিডের ৩৩ কেভির সংযোগস্থল বরিশাল শহরতলীর জাগুয়া এলাকায় পাঁচটি বিশাল আকৃতির চাম্বল গাছ পড়ে। এতে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন ছিল পুরো জেলা।
[৫] নোয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলের ২১২টি ঘর সম্পূর্ণ এবং ৯১৩টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। জেলার উপকূলীয় এলাকা হাতিয়া, সূবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সদর উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের দ্বীপ ও চরাঞ্চলে এসব ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
[৬] ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কৃষি অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট আমন আবাদ হয়েছে ৫৯ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে মিধিলির প্রভাবে জেলায় দুর্যোগ কবলিত হয়েছে ২৮২ হেক্টর জমির আমন ফসল। শীতকালীন সবজি আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৩৯২ হেক্টর। দুর্যোগের কবলে পড়েছে ২৩ হেক্টর। সরিষা আবাদ হয়েছে ২০ হেক্টর জমিতে। দুর্যোগ কবলিত হয়েছে ২ হেক্টর জমির সরিষা।
[৭] ভোলা সদর উপজেলায় ১০ ঘর পুরোপুরি ও ২০টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ৩ শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আমন ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে।
[৮] তথ্য পাঠিয়েছেন আতিকুল আলম, এমরান পাটোয়ারী, বিধান ভৌমিক, ফরহাদ হোসেন, বাবুল মিনা। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএইচ/টিএবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :