মুসবা তিন্নি: [২] বাংলাদেশে ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে এটি। দেশে যেকোনো এলাকায় ঘরোয়া কিংবা আনুষ্ঠানিক কোনো গানের আসরে, বন্ধু মহলের আড্ডায়, পিকনিকে এর পরিবেশনা থাকবেই। ছুটির দিনে, বৃষ্টির দিনে ইউটিউবে বা সংগ্রহে থাকা গানের তালিকা থেকে গানটি শোনেন অনেকেই। অনেককেই এ গান করে তোলে স্মৃতিকাতর।
[৩] সহজ-প্রাঞ্জল কথার গানটির সঙ্গে শ্রোতারা খুব সহজেই একাত্ম হয়ে যায়। প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই গানটি এত জনপ্রিয়তা লাভ কওে যে এটি ডিফরেন্ট টাচের সিগনেচার গানে পরিণত হয়। উঠতি ব্যান্ড, যারা অন্য ব্যান্ডের গান কভার করে থাকে, তাদের পছন্দের শীর্ষে এখনো রয়েছে গানটি। তার জন্য অবশ্য শ্রোতাদের গ্রহণযোগ্যতাটাই মূল কারণ।
[৪] জানেন কী, গানটির জন্ম কোনো এক শ্রাবণের রাতেই ১৯৮৭ সালে। ব্যান্ডদল ডিফারেন্ট টাচের শেষ গান ছিলো এটা। আশরাফ বাবুর কথা ও সুরের এই গানটি ১৯৯১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এক কনসার্টে শুরুর কয়েক মুহূর্ত পরই সত্যি সত্যি বৃষ্টি শুরু হয়েছিলো।
[৫] মজার ব্যাপার হলো, পরের বছর একই জায়গায় আরেকটি কনসার্টে যখনই ডিফারেন্ট টাচ ‘শ্রাবণের মেঘগুলো’ গাওয়া শুরু করল, তখন আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছিলো।
[৬] শ্রাবণের মেঘগুলো গানটি পুরো দেয়া হলো
কথা ও সুর: আশরাফ বাবু
শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে
অঝোরে নামবে বুঝি শ্রাবণে ঝরায়ে
আজ কেন মন উদাসী হয়ে
দূর অজানায় চায় হারাতে
কবিতার বই সবে খুলেছি
হিমেল হাওয়ায় মন ভিজেছে
জানালার পাশে চাপা মাধবী
বাগানবিলাসী হেনা দুলেছে
আজ কেন মন উদাসী হয়ে
দূর অজানায় চায় হারাতে
মেঘেদের যুদ্ধ শুনেছি
সিক্ত আকাশ কেঁদে চলেছে
জমেছে হাঁসের জলকেলি
পথিকের পায়ে হাঁটা থেমেছে
আজ কেন মন উদাসী হয়ে
দূর অজানায় চায় হারাতে।
সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
এমটি/এসএইচবি/এসবি২