শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:৩০ দুপুর
আপডেট : ০৮ মে, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাইফ আলি খানকে হাসপাতালে নেওয়া সেই অটোচালক যা বললেন (ভিডিও)

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান গত বুধবার গভীর রাতে নিজের বাসায় এক দুষ্কৃতকারীর আঘাতে আহত হন। পরে দ্রুত তাকে অটোতে করে হাসপাতালে নিজে যান স্বজনরা। আর সেই অটোচালক হচ্ছেন ভজন সিং রানা। তার অটোতেই লীলাবতী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। আর সেই হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে পর্যন্ত ভজন বুঝতেই পারেননি, যাকে এতক্ষণ অটোর পেছনের আসনে বসে থাকা জখম ব্যক্তিটি আসলে কে। আসলে খেয়াল করার ফুরসতই বা কই ছিল।

মুম্বইয়ের এই অটোচালকের সঙ্গে গত চব্বিশ ঘণ্টায় কতজন সাংবাদিক কথা বলেছেন, গুনতে বসলে তালিকা দীর্ঘ হবে। প্রাণপণে ছুটে আসা অটোরিকশাটা ভোররাতের লীলাবতী হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে। রক্তে ভেসে যাওয়া একটা চেহারা এবার অটো থেকে নামেন। আশপাশে চলে আসা হাসপাতালের রক্ষী আর কর্মীদের দিকে তাকিয়ে বলেন— দয়া করে একটা স্ট্রেচার আনুন, আমি সাইফ আলি খান।

বুধবার রাত তখন আড়াইটা কিংবা তিনটা হবে। বান্দ্রা লিঙ্কিং রোডের গলি ধরে অটো চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভজন। সাইফ-কারিনার বাসভবন 'সৎগুরু শরণ' অ্যাপার্টমেন্টের কাছ দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ দেখেন সামনে এক নারী— 'চিৎকার করে বলছেন রিকশা রিকশা।' ততক্ষণে সাইফের বহুতলের গেট থেকেও কয়েকজন ডাকছেন ভজনকে। গেট পেরিয়ে একটু এগিয়েই গিয়েছিলেন তিনি। ডাকাডাকি শুনে ইউটার্ন করে এসে বহুতলের দরজায় অটো থামান।

ভজন বলেন, এর পর কয়েকজন বেরিয়ে এলেন। তাদের মধ্যে একজনের সাদা কুর্তা-পাজামা পুরো রক্তে মাখামাখি। ওদের বললাম অটোতে বসতে। আহত লোকটির সঙ্গে সাত-আট বছরের একটা বাচ্চা ছিল, অল্পবয়সি এক তরুণও ছিল। আমাকে বললেন— ‘হাসপাতালে নিয়ে চলো।’ কিছুটা এগিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম— স্যার, হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে যাব নাকি লীলাবতী? সাইফ (তখনো যাকে চিনতে পারেননি ভজন) বললেন, লীলাবতী। আমি ওদের সোজা লীলাবতীতে নিয়ে গেলাম।

গোটা সময়টায় বুঝতেই পারলেন না যে, বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানকে আপনি নিয়ে আসছেন?—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ভজন বললেন— নাহ, বুঝতে পারিনি। দেখেছিলাম প্রচণ্ড চোট লাগলে যেমন হয়, সে রকম অবস্থার একজনকে আমার অটোয় তোলা হচ্ছে। ঘাবড়েও গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম হয়তো মারামারি হয়েছে। কেমন যাত্রী তুললাম কে জানে। মারপিট হয়ে থাকলে আমি নিজে ঝামেলায় পড়ব না তো? এসবই মনে হচ্ছিল। তা আমি দ্রুত ওদের পৌঁছে দিলাম। ওরা হাসপাতালে নেমেই সেখানকার রক্ষীকে ডাকলেন। রক্ষীকে বললেন, অন্য কর্মীদের ডেকে আনতে। আর তখনই উনি বললেন— ‘আমি সাইফ আলি খান’।

অভিনেত্রী কারিনা ওই সময়ে ছিলেন সাইফের সঙ্গে? খেয়াল করেননি ভজন। তার সোজাসাপ্টা উত্তর— ভিড়ের মধ্যে কী হয়, দেখেননি? লোকের তখন আর নজর থাকে না— কারিনা আছেন, নাকি কে আছে। তিনি বলেন, আমি তো সাইফ আলিকেই চিনতে পারিনি। বরং ভয়ে ভয়ে ভাবছিলাম— রক্তমাখা একটা লোককে নিয়ে যাচ্ছি। আবার এই চক্করে পড়ে না যাই। 

ঠিক কোথায় কোথায় লেগেছিল সাইফের? ভজন বলেন, খেয়াল নেই। তবে ডান কাঁধের কাছটায় একটা জখম ছিল। আর উনি নামার পর দেখলাম— পিঠে রক্ত।

ভজন জানালেন আজ এই সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় পর্যন্ত পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। রুজি-রুটির চিন্তায় দিন পার করা অটোচালক তো পুলিশি ঝামেলারই ভয় পাচ্ছিলেন গোড়া থেকে। নিজের রুদ্ধশ্বাস অভিজ্ঞতার কথা ক্রমাগত শোনাতে শোনাতেও কোনো শিহরণও জাগাচ্ছে না তার। নির্লিপ্ত গলায় ভজন সিং রানা বললেন, আমি ওদের পৌঁছে দিয়েছিলাম, এটুকুই।

উল্লেখ্য, নবাব সাইফ আলি খান গত বুধবার গভীর রাতে নিজ বাড়িতে দুষ্কৃতকারীর হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর এখন তিনি হাসপাতালে শয্যাশায়ী। তাকে অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে। এখন তিনি নিরাপদে আছেন। তবে সুস্থ হতে আরও কয়েক দিন লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়