এম এম লিংকন: [২] এক্ষেত্রে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। রিটার্নিং অফিসার বা রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেবেন। কোনো সাংবাদিকের জন্য গাড়ির স্টিকার দেওয়া হলে স্টিকারের ক্রমিক নম্বর রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে।
[৩] মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আগের নীতিমালায় সংশোধন এনে এমন নির্দেশনা জারি করে নির্বাচন কমিশন।
[৪] ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারি পরিচালক আশাদুল হক জানিয়েছেন, নীতিমালার ৬ নম্বর নির্দেশনায় সংশোধন আনা হয়েছে। আগে যেখানে বলা হয়েছিল, সাংবাদিকরা ভোটের কাজে মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন।
[৫] সংশোধনী নীতিমালায় বলা হয়, প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতার আলোকে স্থানীয় প্রশাসন (রিটার্নিং অফিসার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার সমন্বিতভাবে) প্রকৃত সাংবাদিকদেরকে ভোটকেন্দ্রে গমনাগমন করত: সংবাদ সংগ্রহের লক্ষ্যে সীমিত পর্যায়ে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র প্রেস আইডির কপি, এনআইডির কপি এবং যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হবে সেই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র রিটার্নিং/ সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিতে হবে।
[৬] এর আগে ১২ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের চলাচলে মোটরসাইকেল ব্যবহার, ১০ মিনিটের বেশি ভোটকক্ষে অবস্থান ও ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে এক নীতিমালা জারি করে। তাৎক্ষণিকভাবে এতে আপত্তি জানায় নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসিসহ (আরএফইডি) সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন।
[৭] পরদিন ১৩ এপ্রিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক বিবৃতিতে বলে, নির্বাচনের দিন গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দুরভিসন্ধিমূলক।
[৮] সবশেষ ২৭ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। এ সময় তিনি বলেন, মোটরসাইকেল ছাড়া সাংবাদিকদের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড কভার করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে বলে গণমাধ্যমের যে দাবি, সেটাও যৌক্তিক। বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের সময় মোটরসাইকেল ব্যবহারের বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিবো। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএমএল/টিএবি/এনএইচ