শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০২৩, ০৬:০০ বিকাল
আপডেট : ০৯ জুন, ২০২৩, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাসিক নির্বাচন

আ’লীগের প্রধান চ্যালেঞ্জ ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আনা

মঈন উদ্দীন, রাজশাহী: সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের বিপরীতে এবার শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তারপরও নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এ নির্বাচনকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না। দিনরাত এক করে তিনি প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

এবারের নির্বাচনে খায়রুজ্জামান লিটনের প্রধান চ্যালেঞ্জ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। এ লক্ষ্যেই তিনিসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। নির্বিঘ্ন ভোট দিতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করে সকাল সকাল কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি অনুরোধ রাখছেন তিনি।

নির্বাচনে শক্ত অবস্থানের পরও ব্যাপক প্রচারণার বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, এবারের নির্বাচনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। বিগত নির্বাচনগুলোতে দেখা যাচ্ছে ভোটাররা কেন্দ্রে যাচ্ছেন না। এতে দল ও সরকারের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। দিনরাত প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্ন ভোট দিতে পারবেন- সেই বিষয়টি বোঝানো হচ্ছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, আমাদের প্রার্থীর বিপক্ষে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকলেও নির্বাচনকে আমরা গুরুত্ব দিয়েই দেখছি। বিশেষ করে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করার আমরা করবো। আমাদের টার্গেট ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ভোটারকে কেন্দ্রে উপস্থিত করা।

তিনি বলেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এবার তাদের সঙ্গে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যেতে কাজ করবে।

আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে চারজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম হাতপাখা এবং জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে প্রচারসহ সব দিক থেকে এগিয়ে আছেন সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। প্রতীক বরাদ্দের দিনেই পোস্টার, ব্যানার সাঁটিয়ে প্রচারের মাঠ নিজের কবজায় নেন তিনি। শহরের এমন কোনো স্থাপনা নেই, যেখানে তার পোস্টার-ব্যানার লাগানো হয়নি। ৩০টি ওয়ার্ডে এই প্রার্থীর ৩০টি প্রচার মাইকও চলছে। 

জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন ও জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী লতিফ আনোয়ার প্রচার-প্রচারণা চলছে সীমিত পরিসরে। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম নগরজুড়ে কিছুটা প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছেন। 

রিটানিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন জানান, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। ১৫৫টি ভোট কেন্দ্রে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা হবে এবং প্রতিটি কেন্দ্র বাহিরে ও কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়