আনিস তপন: আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচন সারাদেশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। আন্তর্জাতিক মহলের কাছেও গাজীপুর নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, গাজীপুরের নির্বাচন হবে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নির্বাচন। সরকারও এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তার নির্দেশনায় বলেছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনের দিন যে কোন মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে পারেন- এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি শতভাগ স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই সঙ্গে এও বলেছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে যাতে কোন প্রশ্ন ওঠার সুযোগ না থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা মোতাবেক স্থানীয় প্রশাসন সব রকম প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। ইসি যেভাবে আমাদের সহযোগিতা চাইছে, সেভাবেই সকল কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রিসাইডিং অফিসারদের নিয়ে ভোটিং ম্যাটেরিয়াল কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌছে দিয়েছেন। জেলার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে নিয়োজিত আছেন বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়ার জন্য। পুলিশ এবং আনসার ব্যাটেলিয়ান সদস্যদের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা সিটির সব কেন্দ্র ইতোমধ্যেই পরিদর্শন করেছেন। তারা পর্যালোচনা করেছেন কোথাও কোন সমস্যা আছে কিনা। নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও স্বচ্ছ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব