ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা অবস্থায় ৩০০ আসনেই ইভিএম করার বিষয়টি সহজভাবে নিচ্ছেন না বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে বৈশ্বিক এ অর্থনৈতিক মন্দায় এমন চাওয়া অযৌক্তিত বলছেন তারা। তবে চলমান বাস্তবতায় সরকার এমন সিদ্ধান্তে মত দেবে না বলেও মনে করেন তারা। যেখানে রোডম্যাপে বলা আছে, রাজনৈতিক দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) সিদ্ধান্ত; সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই উল্টো কথা বলে বিতর্ককে আরও উসকে দেয়া হলো। এনটাই মত নির্বাচন বিশ্লেষকদের।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) একেক সময় একেক কথা বলে নিজেরাই নিজেদের বিতর্কিত করছেন। সংলাপের শেষ দিন গত ৩১ জুলাই ইভিএম নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএমে অনেককেই আমরা আস্থায় আনতে পারছি না।
গত ২৪ আগস্ট সিইসি বলেন, সব দলের মতামত বিবেচনা করে কমিশন শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ১৫০ ও ১৫০ এভাবে ভাগ করে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে দুই সপ্তাহের মাথায় আবার ভিন্ন সুরে কমিশন।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, কারো চাওয়া-না চাওয়ায় নয়; বরং কমিশনের ইচ্ছাতেই হবে ইভিএমে ভোট। ইভিএমের প্রতি আমাদের আস্থা এসেছে। তাই কোনো দল রাজি না হলেও নির্বাচন হবে ইভিএমেই।
নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমিশন চাইলে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে একই বিষয়ে একেক সময় একেক অজুহাত আস্থা-অনাস্থার দোলাচলে থাকা এ কমিশনকে আরও বিতর্কিত করছে। সে ক্ষেত্রে এর দায়ভার নির্বাচন কমিশনের ওপরই বর্তায় বলে মনে করেন তারা।
নির্বাচন বিশ্লেষক মুনিরা খানম বলেন, তারা নিজেরাই বিতর্ক সৃষ্টি করছেন। পরবর্তীকালে কী হবে-না হবে, সেটা পরের কথা। কিন্তু তাদের এ ধরনের বক্তব্যের কারণে আস্থাটা নষ্ট হলো।
আরেক নির্বাচন বিশ্লেষক ড. আব্দুল আলিম বলেন, শুধু রাজনৈতিক দল নয়, এটার সঙ্গে নির্বাচনের অংশীজনদের (জনগণ থেকে শুরু করে সবার) একধরনের ঐকমত্য থাকতে হয়। রাজনৈতিক দলের আলোচনার ভিত্তিতে নেয়া হোক বা না হোক, এখানে বিশ্বাসের একটা বিশাল ঘাটতি আছে। এ সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ না করে ইভিএম ব্যবহার করলে বিতর্ক বাড়তেই থাকবে।
১৫০ নয় ৩০০ আসনেই ইভিএম এর বিষয়ে মুনিরা খানম বলেন, ১৫০ আসনের জন্য তাদের কয়েক হাজার কোটি টাকা আনতে হবে। আর যদি ৩০০ আসনে ইভিএম করতে চায়, তাহলে এটা বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় কতটুকু সম্ভব বলে প্রশ্ন তুলেন তিনি। রিপোর্ট: হ্যাপী