শিরোনাম
◈ ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ সরকারকে ৬০ জন এমপির চিঠি ◈ সায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহির পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ : প্রেসসচিব ◈ চাঁদপুরে খতিবকে হত্যাচেষ্টা অভিযুক্ত আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ ◈ বালিয়াডাঙ্গীতে মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের গাড়িবহরে হামলা, আহত ৪ ◈ এবার রাজধানীর মিরপুরে ‘৫ কোটি টাকা’ না পেয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-গুলি ◈ আটকের গুজব উড়িয়ে দিলেন সাবেক মন্ত্রী এমএ মান্নান, বললেন ‘ভালো আছি, বাসায় আছি’ ◈ মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ড: ‘আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না, আমি ফাঁইসা গেছি’, গ্রেপ্তার রবিনের দাবি ◈ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০% মূল্য সংযোজন চাহিদা বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য চ্যালেঞ্জ : বিজিএমইএ সভাপতি ◈ সাকিবের জন্য জাতীয় দলের দরজা সবসময় খোলা, বললেন বিসিবির মিডিয়া বিভাগের প্রধান ◈ অন্যায়কারী যেই হোক, প্রশ্রয় নয়: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তারেক রহমানের

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২৫, ০৩:৩৮ দুপুর
আপডেট : ১৩ জুলাই, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

শামসুল হুদার ভগ্নিপতি আশফাক কাদেরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালে রয়েছে।’

তিনি জানান, তার মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তিনি দেশে ফিরলে জানাজা ও দাফন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হতে পারে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শামসুল হুদা দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতা ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং শনিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ড. এ টি এম শামসুল হুদা ২০০৭ সালে ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নেন। তার নেতৃত্বে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হিসেবে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়।

সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০, বিএনপি ৩০ ও জাতীয় পার্টি ২৭ আসনে জয় লাভ করে।

শামসুল হুদা ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নির্বাচনী ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ ও নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সে সময় কমিশনার হিসেবে তার সঙ্গী ছিলেন মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও এম সাখাওয়াত হোসেন।

উল্লেখ্য, তিনি ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত হন। দীর্ঘদিন প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালে তিনি সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

চাকরি জীবনে তিনি বাগেরহাটে মহকুমা প্রশাসক (এসডিও), পানিসম্পদ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়