মিহিমা আফরোজ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা, ভাইভা ও প্রেজেন্টেশনের সময় কানসহ মুখমণ্ডল খোলা রাখার নোটিশের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় উপাচার্যের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন ঢাবির নারী শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে নারী শিক্ষার্থীদের আয়োজিত এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশে ব্যানার হাতে অংশ নিয়েছে নারী শিক্ষর্থীরা। সূত্র: ডেইলি ক্যাম্পাস
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, হিজাব পরিহিতাদের শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করার প্রয়াসে বাংলা ডিপার্টমেন্টের দেওয়া নোটিশের বিষয়ে উপাচার্যের পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা আমাদের হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে। গত বছর এই হিজাব ইস্যু নিয়ে যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল, সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে গত ২৬ ডিসেম্বর ৫ দফা দাবি নিয়ে আমরা ভিসি স্যারের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলাম। তিনি আমাদের দাবিগুলো শুনেছিলেন এবং এগুলোর যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। সূত্র: ঢাকা পোস্ট
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা ভেবেছিলাম তিনি সত্যিই তার দায়িত্বে অটল থাকবেন। কিন্তু পরীক্ষা ঘনিয়ে আসতেই আমরা দেখতে পেলাম আমাদের সেই বিশ্বাস বা ভরসা কোনটায় তিনি রাখেননি। বাংলা বিভাগ তার পূর্বের সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছে এবং আবারও বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে আমাদের বোনদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে আমাদের হতাশা ও ক্ষোভের কথা জানাচ্ছি এবং অভিভাবকত্বের জায়গায় ভিসি স্যারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করছি।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, মেধার স্বাক্ষর রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য একজন মুসলিম নারীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা সংবিধানের ৪১নং অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা স্পষ্ট ভাষায় এটাকে মানবতাবিরোধী এবং দেশের আইন লঙ্ঘন বলে অভিহিত করছি। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
এমএ/এসএইচবি/এএ