সেপ্টেম্বরের শেষ বা অক্টোবরের শুরুতে দেশের ১৫০টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল (দুপুরের খাবার) চালু করা হচ্ছে। এর মধ্যে ডিম, মৌসুমি ফল, বিস্কিট, দুধসহ পাঁচ ধরনের খাবার থাকবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ১৬ বছর পর প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ তথ্য জানিয়েছেন।
মিড ডে মিল চালুর অগ্রগতি কতদূর জানতে চাইলে এই উপদেষ্টা বলেন, মিড ডে মিলের কাজ এগোচ্ছে। ১৫০টি উপজেলায় শিগগির চালু হয়ে যাচ্ছে।
চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে দেশের ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেটি এখনো হয়নি- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, 'আমরা ডিপিপি তৈরি করলাম, সেটি আগের বিবিএসের রিপোর্ট অনুযায়ী তৈরি হলো।
এরপর প্রক্রিয়া মেনে আমরা এটি একনেকে উপস্থাপন করলাম, তখন বিবিএসের নতুন পরিসংখ্যান বের হলো। তখন আমাদেরকে বলা হলো আপনারা এই (নতুন পরিসংখ্যান) অনুযায়ী করেন। একটা জেলার মধ্যে কোন অঞ্চলগুলো বেশি দরিদ্র সেটি তো পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে আবার এটিকে ঠিক করে পাস করাতে হল। এজন্য কিছুটা বিলম্ব হলো।
বিধান রঞ্জন বলেন, বছরে মাত্র ১৮০ দিন প্রাথমিকে ক্লাস হয়। শিক্ষা বহির্ভূত অনেক কাজে শিক্ষকদের ব্যস্ত রাখা হয়। এর ফলে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ সময় শিক্ষা ক্যালেন্ডারে ছুটি কমানো হবে বলেও জানান তিনি।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশের ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ। ২২ দশমিক ১ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো নিরক্ষর। যারা কখনো বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি বা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পরেছে।
শিক্ষকদের পদোন্নতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলার জন্য অনেক শিক্ষকে পদন্নোতি দেয়া যাচ্ছে না। ৩২ হাজার শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নোতি পাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। তাহলে অনেক নতুন পদ সৃষ্টি হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আর যে প্রক্রিয়াগুলো যেমন প্রকিউরমেন্টে প্রক্রিয়া, ট্রেনিংয়ের বিষয়গুলো, সেগুলো চালু আছে আমরা আশা করি আমরা পারবো।