মাজহারুল মিচেল: [২] বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমই) সভাপতি ফারুক হোসেন বুধবার রাতে আমাদেরসময় ডটকমকে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত জানান।
[৩] তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশের সকল পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক লেবার ল’ মেনে চলেন। আমরা সকল শ্রমনীতি মানি।
[৪] বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ট্রেড ওর্গানাইজেশনের (ডব্লিওটিও) সদস্য উল্লেখ করে তিনি জানান, এই প্রতিষ্ঠানের যারা সদস্য হবেন তাদেরকে কেউ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবেন না। স্যাংশন অর্থনীতিতে হয়না, হয় ভিসাতে।
[৫] একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান লেটার অব ক্রেডিটে বাংলাদেশ নিষেধাজ্ঞায় পড়লে পোশাক না নেওয়ার শর্ত দিয়েছে উল্লেখ করে সভাপতি ফারুক বলেন, প্রথমবারের মতো ঋণপত্রের সাধারণ শর্তের মধ্যে বলেছে, বাংলাদেশ কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে তারা পণ্য নেবে না। যদি পণ্য জাহাজীকরণের পরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলেও অর্থ দেবে না ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।
[৬] তবে কোন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এমন শর্ত দিয়েছে কিংবা কোন পোশাক কারখানাকে এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা জানাননি বিজিএমইএ সভাপতি।
[৭] এতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উপর কোন প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বলবো যারা এমন শর্ত জুড়ে দিচ্ছে তাদের কাজ না নেওয়াই ভালো। তারা আমাদের কাছ থেকে ফায়দা নিতে চাচ্ছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তিত হওয়ার কোন কারনই নেই।
[৮] তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে মেমোরেন্ডামে সই করেছেন সেখানে কিন্তু কোথাও বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করা নেই। আমাদের দেশের কেউ কেউ এগুলোর ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে। আমাদের দেশের পোশাক শিল্পে কোন ধরণের নিষেধাজ্ঞা আসবে না, এটা নিশ্চিত।
[৯] এর যৌক্তিক উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র কোন ধরণের নিষেধাজ্ঞা দিত তাহলে তারা আগে এ দেশ থেকে তাদের দূতাবাস উঠিয়ে নিয়ে যেত।
[১০] তিনি বলেন, মিডিয়াতে যেসব নেতিবাচক বক্তব্য এসেছে সেগুলো ভুল। আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছে ‘যদি নিষেধাজ্ঞা আসে তাহলে কি কি হতে পারে?’ তখন নেতিবাচক মন্তব্য করেছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সেগুলো এখনই হয়ে গেছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান