আমিনুল ইসলাম: [২] বুধবার সকালে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে অনুষ্ঠিত সৌদি বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের একটি বৈঠকে এই বিষয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা জানান সৌদি আরবের ব্যবসায়ীরা। দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই এই বৈঠকের আয়োজন করে।
[৩] বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী খালিদ এ. আল ফালিহ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৌদি আরবের মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সৌদি আরবের অন্যতম ঘনিষ্ঠবন্ধু। দীর্ঘদিন ধরে উভয় দেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে।
[৪] তিনি আরও বলেন, এতদিন সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শুধু কয়েকটি খাতে বিদ্যমান ছিলো।তবে এখন সময় এসেছে আমরা কীভাবে উভয় দেশের জন্য পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাণিজ্যকে সহজতর করতে পারি তার উপায়গুলো খুঁজে বের করার। বাংলাদেশের প্রতি সৌদি আরবের সহায়তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
[৫] প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সৌদি আরবের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সরকার উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
[৬] বাংলাদেশ থেকে লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের আন্তরিকতার প্রশংসা করে সালমান এফ রহমান ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ থেকে দক্ষ মানব সম্পদ রপ্তানি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
[৭] এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক ইসলামিক ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গঠিত। দীর্ঘদিন ধরে উভয় দেশ চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে।
[৮] ৫০ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন এখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে উল্লেখ করে তিনি সৌদি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
[৯] বৈঠকে সৌদি আরবের বিনিয়োগ বিষয়ক উপমন্ত্রী বদর আই. আলবদর বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে উন্মুখ হয়ে আছে সৌদি আরব। বাংলাদেশে আমরা বহুমুখী বিনিয়োগ করতে চাই। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কয়েকটি খাত দিয়ে বাণিজ্য শুরু করলেও ভবিষ্যতে সৌদি আরব আরও বেশি খাতে বাণিজ্যে আগ্রহী। বাংলাদেশের প্রতি সৌদি আরবের চলমান সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেন এই সৌদি উপমন্ত্রী। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী