এল আর বাদল: [২] আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনীতি চাপের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক বিনিয়োগের জন্য, প্রতিটি সেক্টরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন।
[৩] ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম। প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক খাতে, ২০ দিনের হরতাল ও অবরোধের (২৯ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর) আর্থিক ক্ষতি দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। - ভয়েস অব আমেরিকা
[৪] এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে দিনে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। তাই আমরা বারবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে আর্থিক ক্ষতির কারণ এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড এড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছি।
[৫] পরিবহন মালিকেরা জানায়, এ খাতের আনুমানিক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে প্রতিদিন প্রায় ১৬১ কোটি টাকা। এ হিসেবে ২০ দিনের হরতাল-অবরোধে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ২২০ কোটি টাকা।
[৬] ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, হরতাল ও অবরোধের ফলে আর্থিক ক্ষতি বহুমাত্রিক এবং আপনি এটি শুধু আর্থিক পরিসংখ্যানে হিসাব করতে পারবেন না। রাজনৈতিক বা অন্য কোনো কারণে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে, বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশের আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী দল ও বৈশ্বিক ক্রেতারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তারপর তারা তাদের ক্রয় আদেশ এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনা আরো সুরক্ষিত ও স্থিতিশীল এলাকায় সরিয়ে নেন।
[৭] ড. দেবপ্রিয় বলেন, যখন একটি বড় বৈশ্বিক ক্রেতা, একটি দেশ থেকে অর্ডার স্থানান্তর করে, তখন ছোট ক্রেতারা তাদের অনুসরণ করে। ড. দেবপ্রিয়র কথার প্রতিধ্বনি করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, একটি বর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগ ও বৈশ্বিক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রতিটি সেক্টরে স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন।
[৮] রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে পরিবহন খাতে। দূরপাল্লার আন্তঃজেলা বাসগুলো স্টেশনে অলস বসে আছে। অগ্নিসংযোগের ভয়ে সিটি বাসগুলোকে কম যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। এতে অনেক পরিবহন শ্রমিক কর্ম ও বেতনহীন হয়ে পড়েছেন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এলআরবি/টিএবি/এনএইচ