মাজহারুল মিচেল: [৩] রাজধানীর বেশ কিছু বাজারে দাম কমেছে গরুর মাংসের। স্থানভেদে মাংস মিলছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে। কোথাও কোথাও ৬০০ টাকার কমেও পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন মাংসের বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
[৪] উৎপাদন খরচ কমার কারণে গরুর মাংসের দাম কমেছে বলে দাবি করে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, খামারিরা এখন দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে প্রাকৃতিকভাবে উন্নতজাতের ঘাস উৎপাদন করছেন। এতে উৎপাদন খরচ কমেছে।অল্প সময়ের মধ্যে ৪৫০ টাকায় নেমে আসার সম্ভবনা আছে বলেও জানান তিনি।
[৫] এছাড়াও এ সময়ে যে পরিমাণ অনুষ্ঠানাদি ও পিকনিক হওয়ার কথা ছিল সে পরিমানে না হওয়া অর্থাৎ চাহিদার ব্যাপক ঘাটতি থাকার কারণে এমন দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
[৬] অপরদিকে ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে ডেইরি ইন্ডাস্ট্রিতে যে প্রভাব পড়েছিল সেটিও কমে আসা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কুরবানির প্রচুর গরু এখন পর্যন্ত অবিক্রিত রয়ে গেছে। একটি ঘরে রাখলে অনেক খরচ বাড়ে। তাই অনেকেই বাধ্য হয়েই গরু বিক্রি করে দিচ্ছে। এটি একটি কারণ হতে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা দেশের মানুষকে আরও কমে মাংস খাওয়ানোর আশা করছি।
[৭] সমিতির অফিস সেক্রেটারি সৌরভ রহমান বলেন, গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। তবে তাতে বাজারের দামে খুব বেশি হেরফের হয়নি। আমাদের ব্যাপক প্রচারের কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
[৮] বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মোর্তুজা বলেন, দেশে গরুর উৎপাদন ভালো। গরুর মাংসের দাম আরও কমানোর সুযোগ আছে বলে মনে করেন তিনি।
[৯] ক্রেতা, বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে খাদ্যতালিকা থেকে মাংস বাদ দিতে বাধ্য হয়েছেন কম আয়ের মানুষ। অন্যদিকে, ভারত থেকে হাড়বিহীন বা ফ্রোজেন মাংস আমদানি হচ্ছে। যদিও ডলার-সংকটে আমদানি কমেছে। এসব কারণে মাংসের চাহিদা কমে গেছে। ফলে বিক্রি কমে যাওয়ায় কম মুনাফায় মাংস বেচতে বাধ্য হচ্ছেন বিক্রেতারা।
[১০] ঢাকার লালবাগের নবাবগঞ্জ বাজার থেকে ৫৮০ টাকা দরে গরুর মাংস কেনেন ক্রেতা নাদিম হোসেন। তিনি বলেন, ৬০০ বা এর নিচেও গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। তবে এসব মাংসে চর্বি বেশি থাকে। সম্পাদনা : সমর চক্রবর্তী