শিরোনাম
◈ আইপিএল আয়োজনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে আরব আমিরাত ◈ ভারত আসবে না বাংলাদেশ সফরে, হবে না এশিয়া কাপও ◈ এপ্রিলে  ১০১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে বিজিবি ◈ ঐক্যবদ্ধ শাহবাগ বিএনপির অপেক্ষায়: সারজিস আলম ◈ জনআকাঙ্খা ও রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের বিষয়ে সুচিন্তিত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জনতা পার্টি বাংলাদেশের ◈ ভারত-পাকিস্তান তৃতীয় দিনের মতো সংঘর্ষে জড়ালো, যুদ্ধাবস্থা সীমান্তজুড়ে ◈ 'আপ বাংলাদেশ' নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ◈ দেশে অনলাইন জুয়া সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে: অনলাইনে জুয়া বন্ধে কঠোর হচ্ছে সরকার ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধের ডাক হাসনাতের (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৭:১৮ বিকাল
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৭:১৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারের নির্দেশনার ১৫ দিন পরও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম-আলু-পেঁয়াজ 

মাসুদ আলম: [২] গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে আগের বাড়তি দামেই এগুলো বিক্রি হচ্ছে বাজারে। বাজারে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়েও হালিপ্রতি চার থেকে ৭ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে ডিম। একই ভাবে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে আলু ও দেশি পেঁয়াজ। অথচ নির্ধারণ করে দেওয়ার ১৫ দিন পরেও বাজারে এসব দ্রব্যের দাম কার্যকর হয়নি।

[৩] শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। আর প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়।  একটি ডিমের দাম বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকা টাকায়। যেখানে সরকারি নির্ধারিত দাম ৪৮ টাকা। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিমের দাম বেঁধে দিয়েছিল সর্বোচ্চ ১২ টাকা। একইভাবে বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, যেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর দাম বেঁধে দিয়েছিল ৩৫-৩৬ টাকা। ফলে নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজের দাম সরকার ৬৪/৬৫ টাকা বেধে দিলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। 

[৪] বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বাজারে আগাম বেশ কিছু শীতকালীন সবজি এরইমধ্যে চলে এসেছে । তবে এর মধ্যে হাতেগোনা কিছু সবজির দামই নাগালের মধ্যে, বাকি সব সবজির দাম আকাশছোঁয়া। প্রতি কেজি শিম ২০০ টাকা, চায়না গাজর ১৪০ টাকা, মূলা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৬০ টাকা। এ ছাড়া, প্রতি কেজি গোল বেগুন ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কাচাঁমরিচ কেজিতে ১২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা ও লাউ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেপে ছাড়া বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। 

[৫] ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। 

[৬] ভাটারা নুরেরচালা মতিন স্টোরের ম্যানেজার আল ইসলাম আলী বলেন, আলু-পেঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে খুচরা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। 

[৭] উত্তর বাড্ডা জিএমবাড়ির বাসিন্দা সাবানা আক্তার বলেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও আমরা ক্রেতারা এসব আলু, ডিম, পেঁয়াজ এখনও বাড়তি দামেই কিনছি। বাজার মনিটরিং যদি না থাকে তাহলে দাম নির্ধারণ করে দিয়ে কি লাভ হলো? 
 
[৮] খিলক্ষেতে বাজারে আসা বশির উদ্দিন বলেন, বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম, আলু ও পেঁয়াজ। সরকার নির্ধারিত দাম মানছে না ব্যবসায়ী। সম্পাদনা: ইকবাল খান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়