মনজুর এ আজিজ: আড়াই মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার পর গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৫ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এসেছে। এর আগে দেশের বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি রোধে ৫ লাখ চার হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা) মো. কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
তিনি জানান, গত সোমবার থেকে মোট ৫ লাখ চার হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে এসেছে ১৫ হাজার মেট্রিক টন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে বাজারে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৩৭৫ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, যা কেজিতে পড়ছে ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা। ফরিদপুরের পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি করা হচ্ছে ৩১০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা, যা কেজিতে পড়ছে ৬২ থেকে ৬৮ টাকা। রাজশাহীর পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি করা হচ্ছে ৩৭৫ টাকা, যা কেজিতে পড়ছে ৭৫ টাকা। এছাড়া আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৩২৫ টাকা, যা কেজিতে পড়েছে ৬৫ টাকা। অথচ ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরুর আগে এ বাজারেই প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকার বেশি বিক্রি হয়েছিল।
এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পর দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা কমলেও সন্তুষ্ট হতে পারছে না ক্রেতারা। তাদের দাবি, দাম বাড়ানোর তুলনায় দাম কমেনি। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনও নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে। এছাড়া অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের জোর ভূমিকা নেই বলেও জানিয়েছেন তারা। তবে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে এখনো পেঁয়াজের দাম কমার প্রভাব তেমন পড়েনি। সম্পাদনা: এল আর বাদল
এমএ/এলআরবি/এসবি২