ডি এম কামরুল: সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৮ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। অপরদিকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে তিন ট্রাকে ৭৫ টন দেশে এসেছে। সোমবার সন্ধ্যায় এ পেঁয়াজের ট্রাক দেশে প্রবেশ করে।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, প্রতি টন পেঁয়াজ ২২০ মার্কিন ডলার থেকে ২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে।
দেশীয় পেঁয়াজের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করতে গত ১৫ মার্চ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি নিষিদ্ধ করে সরকার। এ সুযোগে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় উঠে।
তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম কমানো সম্ভব হবে এবং সাধারণ মানুষ নায্য মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের তথ্য কর্মকর্তা শান্ত হাওলাদার জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ৮ ট্রাক পেঁয়াজ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আরও ৮ থেকে ১০টি ট্রাক প্রবেশ করতে পারে।
অপরদিকে, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ কমিশনার তানভির আহমেদ জানান, সোমবার রাতে ভারত থেকে ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে আমদানি হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন ১৫০ মার্কিন ডলারে আসদানি হলেও শুল্কায়ন করা হয়েছে প্রতি মেট্রিক টন ৩২০ ডলারে। আমদানি পেঁয়াজ ছাড় করাতে ব্যবসায়ীদের শুল্কায়ন মূল্যের ওপর শতকরা ১০ ভাগ হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে।
আমদানি কারকের প্রতিনিধি সিএন্ডএফ এজেন্টের স্বত্তাধিকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ছাড় করে ঢাকায় পাঠানো হবে। প্রতি মেট্রিক টন ৩২০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন ও সরকারি শুল্ক পরিশোধ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য পড়েছে ৩৯ টাকা। এর ওপর বন্দর চার্জ, ট্রাক ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা পড়বে। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
প্রতিনিধি/এসএইচবি/এনএইচ