শিরোনাম
◈ আইপিএল আয়োজনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে আরব আমিরাত ◈ ভারত আসবে না বাংলাদেশ সফরে, হবে না এশিয়া কাপও ◈ এপ্রিলে  ১০১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে বিজিবি ◈ ঐক্যবদ্ধ শাহবাগ বিএনপির অপেক্ষায়: সারজিস আলম ◈ জনআকাঙ্খা ও রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের বিষয়ে সুচিন্তিত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জনতা পার্টি বাংলাদেশের ◈ ভারত-পাকিস্তান তৃতীয় দিনের মতো সংঘর্ষে জড়ালো, যুদ্ধাবস্থা সীমান্তজুড়ে ◈ 'আপ বাংলাদেশ' নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ◈ দেশে অনলাইন জুয়া সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে: অনলাইনে জুয়া বন্ধে কঠোর হচ্ছে সরকার ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধের ডাক হাসনাতের (ভিডিও)

প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০২৩, ০৩:১০ রাত
আপডেট : ৩১ মে, ২০২৩, ১০:২৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুডি’স রেটিংয়ে ঋণমান কমেছে বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত

আখিরুজ্জামান সোহান: আন্তর্জাতিক ঋণমান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান মুডি’স বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উঁচু মাত্রার দুর্বলতা ও তারল্যের ঝুঁকি বিদ্যমান। একই সঙ্গে চলমান সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতারও প্রকাশ পেয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশের ঋণমান এক ধাপ কমিয়ে বিএ৩ থেকে বি১-এ নামিয়ে দিয়েছে মুডি’স। তবে বাংলাদেশের জন্য মুডি’স তাদের আগের পূর্বাভাস স্থিতিশীল রেখেছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি ইস্যুয়ার রেটিংয়ের ক্ষেত্রে আগের মত ‘নট প্রাইম’ মান বজায় রয়েছে।

মুডি’সের মূল্যায়নে বলা হয়েছে, চলমান সংকটের সময়টিতে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বাহ্যিক দুর্বলতা ও তারল্য ঝুঁকি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার বিষয়টি সামনে এসেছে। বাংলাদেশের সভরেন ক্রেডিট প্রোফাইল ‘বি১’ রেটিংয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিছুটা শিথিল হওয়া সত্ত্বেও চলমান ডলার ঘাটতি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার বিষয়টি থেকে বাংলাদেশের বহিস্থ অবস্থানের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আমদানিতে ব্যাঘাত ঘটছে। দেখা দিচ্ছে জ্বালানি সংকট। সরকার এখনো আমদানি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগটি থেকে পুরোপুরি বের হয়ে আসতে পারেনি এবং একাধিক বিনিময় হার ও সুদহারের সীমার মতো অপ্রচলিত উদ্যোগ বিশৃঙ্খলার কারণ হয়ে উঠেছে। সর্বোপরি অর্থনীতির আকারের তুলনায় রাজস্ব আহরণ অত্যন্ত কম। বিষয়টিতে সরকারের নীতিগত সক্ষমতা ব্যাহত হচ্ছে। টাকার অবমূল্যায়নের কারণে স্বল্পমেয়াদের অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধের পরিমাণ বাড়ছে। একই সঙ্গে দুর্বল হচ্ছে সরকারের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা। 

মুডি’স মনে করছে, বাংলাদেশের আর্থিক সক্ষমতাকে দুর্বল করবে ঋণের পরিমাণ। এছাড়া আর্থিক সংস্কার বাস্তবায়ন হতেও কয়েক বছর সময় লাগবে। একই সঙ্গে মুডি’স বাংলাদেশের স্থানীয় মুদ্রাকে ‘বিএ১’ থেকে ‘বিএ২’ এবং বৈদেশিক মুদ্রার সীমাকে ‘বিএ৩’ থেকে ‘বি১’-এ নামিয়ে এনেছে। সভরেন রেটিংয়ের চেয়ে স্থানীয় মুদ্রার সীমা দুই ধাপ ওপরে রয়েছে। স্থানীয় মুদ্রার সীমার চেয়ে দুই ধাপ নিচে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার সীমা।

সাত ব্যাংকের রেটিং পর্যালোচনা করবে মুডি’স

ওই সময় বলা হয়েছিল, দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের সর্বভৌম রেটিং ‘বিএ৩’ থেকে পুনর্মূল্যায়ন করতে এসব ব্যাংকের রেটিং পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

রয়টার্স লিখেছে, মঙ্গলবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান সংকটের মধ্যে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ডলারের চাহিদা-যোগানের ফারাক রয়েই গেছে এবং বিদেশি মুদ্রার মজুত কমে যাওয়ার বিষয়টি দেশের বৈদেশিক লেনেদেন চাপে থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এতে করে আমদানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

এদিকে ডলার সংকটের সময় আমদানি কমাতে সরকার কড়াকড়ির যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল সেগুলোর পাশাপাশি নেওয়া আরও কিছু অপ্রচলিত বিধিবিধান এখনও পুরোপুরি তুলে নেয়নি।

মুডি’স বলছে, আগের মতোই একাধিক বিনিময় হার এবং বেধে দেওয়া সুদের হারের সীমা বহাল থাকায় তা সাধারণ কার্যক্রমকে বিঘ্নিত করছে।

বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থাটি বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার অনুযায়ী যে অনুপাতে রাজস্ব আহরণ হওয়ার কথা ছিল সেটির চেয়ে অনেক কম রাজস্ব পাচ্ছে। এতে বিভিন্ন নীতি পদক্ষেপ নিতে সরকারের হাতে বিকল্প থাকছে না। এতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং স্বল্পমেয়াদী অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদসহ অর্থ পরিশোধে সরকারকে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হচ্ছে, যা ঋণ গ্রহণের সক্ষমতাকে দুর্বল করার আভাস দিচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে মুডি’স মনে করছে, বিদেশি অর্থায়ন বৈদেশিক লেনদেন এবং আর্থিক সূচকগুলোর চাপ কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে। আর বিদেশি মুদ্রার মজুত কোভিড মহামারীর আগের চেয়ে কমই থাকবে। এছাড়া বেশি মাত্রায় নেওয়া ঋণ আর্থিক সক্ষমতাকে দুর্বল করবে।

এর কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, আর্থিক খাতের যেসব সংস্কার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে সেগুলো শেষ হতে অনেক সময় লেগে যাবে।

একই সঙ্গে মুডি’স বাংলাদেশের স্থানীয় ও বিদেশি মুদ্রার সিলিং কমিয়ে বিএ২ ও বি১ এ নামিয়েছে, যা আগে ছিল যথাক্রমে বিএ১ ও বিএ৩।

মুডি’স এর মূল্যায়নে বাংলাদেশের বহি:বাণিজ্যের অবস্থান মহামারীকালের আগের চেয়ে দুর্বল থাকবে। তবে বিদেশি ঋণ ও অর্থায়ন বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমা ঠেকাবে এবং ২০২৪ সালের জুনের দিকে গিয়ে স্থিতিশীল হবে।

অপরদিকে রিজার্ভের পরিমাণ মহামারীকালের আগের অবস্থান যেতে আরও দুই থেকে তিন বছর লাগবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

এমএএস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়