শিরোনাম
◈ যেভাবে আটক হন সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ (ভিডিও) ◈ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা পেতে যোগাযোগের নাম্বার দেয়া হল ◈ দুই দিন আগে মা মারা গেছেন, কাল মেজবান, আমাকে এখন না ধরেন ভাই” (ভিডিও) ◈ দায়িত্ব গ্রহণের পর নিজ জন্মভূমিতে যাচ্ছেন কাল প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমাহ ৩ নারীকে গুলি করে হত্যা, গ্রেফতার ১ ◈ জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে জোরালো দৌড়: বিএনপিতে ফিরতে চান বহিষ্কৃত সাক্কু ও কায়সার ◈ আবারো মামুন লায়লার দ্বন্দ্ব, প্রকাশ্যে এলো ঐশী-মামুনের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ! ভিডিও ◈ পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে কি আটক ? যা জানা গেলো (ভিডিও) ◈ এবার মোদির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ◈ ভুয়া ভিডিও শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ ভারতীয় সাংবাদিকের

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০২৩, ০৪:১৫ দুপুর
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০২৩, ০৪:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রোকারেজ হাউজ বাড়লেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা

মঈন উদ্দীন, রাজশাহী: রাজশাহীতে গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ব্রোকারেজ হাউজ বেড়ে দাড়িয়েছে ১৬টি। গত দুই বছর আগেও রাজশাহীতে ব্রোকারেজ হাউজ ছিল মাত্র ৮টি। ব্রোকারেজ হাউজ বাড়লেও বাড়েনি বিনিয়োগকারী। এমনকি কমেছে বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা। বাজার ভালো না থাকার কারণেই রাজশাহীর বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান ব্রোকারেজ হাউজ সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, গত এক বছরে অন্তত এক-তৃতীয়াংশ বিনিয়োগকারী কমে গেছে।

রাজশাহীতে বর্তমানে সরকারি প্রতিষ্ঠান আইসিবিসহ মোট ১৬টি ব্রোকারেজ হাউজের শাখা রয়েছে। এগুলো হলো আইসিবি রাজশাহী, এমটিবিএস, এসসিসিএস, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ, বিডি ফিন্যান্স, পিএআই, সাওতা সিকিউরিটিজ, শ্যামল সিকিউরিটি, রয়েল ক্যাপিটাল, আকিজ সিকিউরিটি, এনআরবিসিএস, ন্যাশনাল ব্যাংক সিকিউরিটি, আইসিবি ক্যাপিটাল, আইএসটিসিএল, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটি ও গ্লোবাল সিকিউরিটি লিমিটেড।

সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানায়, রাজশাহীতে প্রতি মাসে অন্তত ২০০ কোটি টাকার লেনদেন হতো। বর্তমানে ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ার কারণে সেটি ঠেকেছে ২০-২৫ কোটি টাকায়। বর্তমানে প্রতিটি হাউজে একই অবস্থা, কোনোটিতে লাখ টাকার লেনদেনও হচ্ছে।

ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কর্মীরা বলছে, রাজশাহীতে মূল বিনিয়োগকারী হলেন শিক্ষক ও ছাত্ররা। ফ্লোর প্রাইসের কারণে রাজশাহীতে বিনিয়োগ কমেছে। এছাড়া অনেকেই আগের মতো বিনিয়োগ করতে চায় না। মূলত বাজার ঠিক না থাকায় তারা বিনিয়োগ থেকে সরে আসছেন। আগে একটি ব্রোকারেজ হাউজে অন্তত ২৫ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট থাকতো। এখন সেটি কমতে কমতে ১ হাজারে ঠেকেছে। অনেকেই বিও অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করছে।

গ্লোবালব সিকিউরিটিজ লিমিটেড রাজশাহীর ইনচার্জ হাসিবুল বাসার সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহীতে আগের চেয়ে ব্রোকারেজ হাউজ বেড়েছে। তবে বিনিয়োগকারী কমেছে। এখানে মূলত শিক্ষক ও ছাত্ররা বিনিয়োগ করেন। কোনো কোনো হাউজে এখন লাখ টাকা লেনদেনে ঠেকেছে। রাজশাহীতে আগে যা বিনিয়োগ হতো সেটি এখন গড়ে এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। নতুন বিও অ্যাকাউন্টও কমেছে। অনেকেই বিও হিসাব খোলার ফর্ম নিচ্ছেন কিন্তু জমা দিচ্ছেন না।

রাজশাহীতে নিয়মিত শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীরা বলেন, সরকার নির্বাচনের কারণে ফ্লোর প্রাইস ছেড়ে দিচ্ছে না। এতে কেউ নতুন করে বিনিয়োগও করছে না। অনেকেই নির্ধারিত দামে কিনতে চাইছে না। এখন ক্রেতা না থাকায় বিনিয়োগ করছেন না। তারা বলেন, রাজশাহীতে আগে এত সুযোগ-সুবিধা ছিল না। কিন্তু এখন অনেক সুযোগ-সুবিধা। অনেকগুলো ব্রোকারেজ হাউজ আছে। তবে বাজার ঠিক করার জন্য কোনো মনিটরিং কমিশন নেই। রাজশাহীতে যদি মনিটরিং কমিশন থাকতো ও বাজার স্বাভাবিক থাকতো তবে ঢাকার পরই রাজশাহীর অবস্থান হতো। কিন্তু ঠিক কী কারণে এমনটি হলো তা বলতে পারবো না। আশা করি শিগগির রাজশাহীতেও একটি স্টক এক্সচেঞ্জ হবে। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়