আনিস তপন: তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সংশ্লষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদেপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার।
শুক্রবার থেকে রাজধানীর ২০টি স্পটে রমজান উপলক্ষে ভ্রাম্যমান বিক্রয়কেদ্র চালু করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
জানাগেছে, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, মানিকনগর, আরামবাগ, আব্দুল গনি রোড, সেগুনবাগিচাসহ ২০টি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র বসানো হয়।
প্রথম দিনে প্রতিটি স্পটে ৫০ কেজি গরুর মাংস, ৫০ কেজি মুরগীর মাংস, ৭০ লিটার গরুর দুধ, এক হাজার ২০০ পিস মুরগীর ডিম দিয়ে বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রয়োজনের তুলনায় পণ্য কম বরাদ্দ থাকায় তা নিয়ে অভিযোগ ছিলো সাধারণের মধ্যে।
আরামবাগ এলাকার আবু মোহাম্মদ ভ্রাম্যমান বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়েও কেনার জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল না থাকায় কিছু কিনতে পারেননি।
আবার সচিবালয়ের পাশে আব্দুল গনি রোড ও সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে বিকি কার্যক্রম শেষ হয়ে গিয়েছে।
উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ডা. এস এম জিয়াউল হক জানান, সবাইকে দেয়ার চেষ্টা ছিলো, তবে চাহিদা এত বেশি যে তা সম্ভব হয়নি।
গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়।
দুধ, ডিম ও মাংসের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সকলকে সঙ্গে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর তৃতীয়বারের মত এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রথম রমজান শুরু হয়েছে এবং চলবে ২৮ রমজান পর্যন্ত।
এটি/এসএ