মাজহার মিচেল: ঋণের শর্ত পালনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্তটি নিল প্রথম কিস্তির টাকা হাতে পাওয়ার পর। মুদ্রানীতি প্রণয়ণে গঠিত কমিটির অভ্যন্তরীণ বৈঠকে রোববার (১৯ মার্চ) এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। বিডি নিউজ ২৪
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক জানান, এটি একটি হিসাব পদ্ধতি যার একটি হচ্ছে গ্রস, অন্যটি নিট হিসাব। আইএমএফ এর পদ্ধতিতে হিসাব করলে বৈদেশিক সম্পদ গণনায় সকল বৈদেশিক দায় ও ঋণ এবং রিজার্ভের অর্থ অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করলে তা মূল রিজার্ভ থেকে বাদ যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, ঐ মাস থেকেই বর্তমানে যে পদ্ধতি মেনে রিজার্ভ হিসাব করছে; সেটা অব্যাহত রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, যার যেমন তথ্য লাগবে তা নিতে পারবে।
চলতি হিসাবের ঘাটতি পূরণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখা এবং বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গত বছরের জুলাইয়ে আইএমএফ এর কাছে ঋণ চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারি মাসে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে, সেইসাথে জুড়ে দেয় কিছু কাঠামো ও নীতি সংস্কারের শর্ত।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি কমিয়ে আনা এবং রিজার্ভ গণনার পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়টিও এর মধ্যে রয়েছে।
আইএমএফ এর হিসাব পদ্ধতি মানলে ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থেকে বাদ দিতে হবে। এছাড়াও আরো দায় থাকলেও বাদ দিয়ে রিজার্ভের হিসাব পদ্ধতিতে যেতে হবে বাংলাদেশকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগদ তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ জানুয়ারি দিন শেষে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম৬ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করলে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামবে।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকট সামাল দিতে খরচ কমানোর জন্য আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপসহ নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘জুন মাসের মুদ্রানীতিতে বাজারভিত্তিক সুদহার সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
এমএম/এইচএ