মাসুদ আলম: আর এক সপ্তাহ পর শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। রমজানে অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ছোলা, ডাল ও বেসনের দাম গত দুই সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া ডিম ও ব্রয়রার মুরগির দামও স্থিতিশীল। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে সবজি ও পেঁয়াজের। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ- এমন খবরে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা পর্যন্ত। রমজানে সালাদের জন্য ব্যবহৃত টমেটো, শসা, গাজর, লেবু ও কাঁচামরিচের দাম বেড়েই চলছে। এছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও স্থিতিশীল রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ছোলার মানভেদে ৯০-৯৫ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, এংকার ডালের বেসন ৮০ টাকা, বুটের ডালের বেসন ১০০-১১০ টাকা ও মুগ ডালের বেসন ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি আগের দামে ২৫০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম ১৩০ টাকা ডজন আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কিছু সবজি কেজিতে ৩ থেকে ৫টাকা বেড়েছে। শসা ৫০-৬০ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা কেজি, করলা ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৮০,কাচাঁমরিচ ১০০ ও লেবু ৮০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
ভাটারা পূর্ব নুরেরচালা মতিন স্টোরের মালিক মো. মতিন বলেন, প্রতিবছর রমজান মাস এলেই ছোলা, ডাল, বেসন, তেল, চিনি ও পেঁয়াজের বাজার অসহনীয় হয়ে ওঠে। তবে তুলনামূলক এবছর দাম তেমন বাড়েনি। দুই একটি পণ্য ছাড়া আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৩৮ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এখনো বাজারে ডাল ও ছোলার পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। রমজানে এসব পণ্যের দাম বাড়বে না বরং রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এসব পণ্যের দাম কিছুটা কমতে পারে।
তবে ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, দিনযত যাচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। কোনো পণ্যের দামই কমছে না। সামনে রমজান ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে দাম আরও বাড়াবে।
এমএ/এসবি২