মনজুর এ আজিজ: আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এই অর্থ। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে।
এর আগে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দেয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সাত কিস্তিতে ৪২ মাসে এ ঋণ দেওয়া হবে।
৩০ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফ জানায়, আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড বাংলাদেশের ঋণ আবেদন অনুমোদন করেছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার দেওয়া হবে। এর মধ্যে এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) বা বর্ধিত ঋণসুবিধা ও এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএএফএফ) বা বর্ধিত তহবিল সুবিধার আওতায় ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলার এবং নতুন গঠিত তহবিল রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় আরও ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ১৪০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে।
আইএমএফ বলেছে, এই ঋণ দেশটির সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা অক্ষুন্ন রাখা, দুর্বলকে সুরক্ষিত করা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশ সম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ প্রথম দেশ হিসেবে আরএসএফ তহবিল থেকে ঋণ পাচ্ছে বলে উল্লেখ করে সংস্থাটি বলেছে, এই অনুমোদনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এখনই ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার (৪৭৬ মিলিয়ন) ঋণ দেওয়া হবে। আর বাকি ঋণ ৪২ মাসের মধ্যে পাবে বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ জুলাই ঋণ চেয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সরকার। প্রথমে পরিমাণের কথা উল্লেখ না থাকলেও ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে ৪৫০ কোটি ডলার চাওয়া হয়।
এমএএ/এনএইচ