মিনহাজুল আবেদীন: [২] গত দুদিনে খোলাবাজারে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। তবে খোলাবাজারে এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া দামের তুলনায় অনেক বেশি দামে ডলার কেনা-বেচা চলছে। জাগোনিউজ ২৪
[৩] সর্বশেষ গত সোমবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ বাংক এই দাম নির্ধারণের পরের দিনই প্রথমবারের মতো খোলাবাজারে প্রতি ডলারের দাম ১০২ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। একইসঙ্গে বাজারে ডলারের সংকটও দেখা দেয়।
[৪] এই অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর গত দুই দিনে খোলাবাজারে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবাজার (১৯ মে) খোলাবাজারে ডলার ৯৭ থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা এই দামে বিক্রি করলেও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিনছেন ৯৬ থেকে সাড়ে ৯৬ টাকায়।
[৫] ডলারের দামের বিষয়ে পল্টনের ক্যাপিটাল এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। দুদিন আগে প্রতি ডলারের দাম ১০১ টাকা হয়েছিলো। আজ আমরা ডলার ৯৬ টাকা থেকে ৯৬ টাকা ৫০ পয়সা করে কিনেছি। আর বিক্রি করেছি ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৯৭ টাকা ৬০ পয়সা করে।
[৬] দিলকুশার বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জের সামনে ঘুরে ডলার কেনা-বেচা করা মো. সোহেল নামের একজন বলেন, গত মঙ্গলবার প্রতি ডলারের দাম ১০২ টাকা পর্যন্ত উঠেছিলো। দুদিন ধরে ডলারের দাম কিছুটা কম। আজ প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ৯৮ টাকায় বিক্রি করেছি। আর আমরা কিনেছি ৯৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৯৭ টাকা করে।
[৭] এদিকে গত সোমবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয়। তার আগে ৯ মে ডলারের বিনিময়মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। ঢাকা পোস্ট
[৮] এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডলারের বিনিময়মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা, ২৩ মার্চ আরও ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা এবং ২৭ এপ্রিল ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা করেছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক।