শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০২২, ০৫:৩৫ বিকাল
আপডেট : ১৫ আগস্ট, ২০২২, ১২:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : আশ্রাফুর রহমান রাসেল

সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী ১৫ টাকা কেজিতে চাল

চাল

এম. মোশাররফ হোসাইন : আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে চাল বিক্রি করবে সরকার। একই সময়ে দেশব্যাপী ২ হাজার ১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে চাল খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এর ফলে বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও আশা করেন তিনি।

রোববার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ৫০ লাখ পরিবারের ৪ কোটি মানুষকে লক্ষ্য করে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাপকভাবে ওএমএস কার্যক্রম শুরু হবে। এ কর্মসূচি জেলা শহর, পৌরসভা বা সিটি এলাকায় একযোগে চলবে। এ কর্মসূচির জন্য ২ হাজার ১৩ জন ডিলার আছে। প্রত্যেক ডিলার প্রতিদিন ২ মেট্রিক টন করে চাল পাবেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় থাকা ভোক্তারা মাসের হিসাবে ৩০ কেজি চাল পাবেন ১৫ টাকা প্রতি কেজি দরে। এই কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত পরিবার চাল কিনতে পারবেন। আর ওএমএসের চাল যে কেউ কিনতে পারবেন। ৩০ টাকা কেজিতে এ চাল একজন ৫ কেজি করে কেনা যাবে।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য আমরা ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করব। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বছরে পাঁচ মাস হয়- সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল। ৫০ লাখ পরিবার যখন উপকৃত হবে তখন বাজার থেকে চাল কেনা লাগবে না। এখন দুইটি সিজনের সন্ধিক্ষণ। বোরো চলে গেছে, আমন আসবে। অনেক জায়গায় খরার কারণে মানুষের মধ্যে আমন ধান লাগানোর বিষয়ে ভীতিতে আছে। তার সঙ্গে পরিবহন খরচও বেড়েছে। তাছাড়া পরিবহন খরচ যেটা বেড়েছে সেই হিসেবে চালের দাম বাড়েনি, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে। সেখানে আবার অসাধু ব্যবসায়ী আছে, এটা পরিষ্কার। সে কারণে মনিটর করব। অবৈধ মজুত আছে কিনা দেখতে আমাদের নিয়মিত মনিটরিং কমিটি আছে। আরও মনিটর জোরদারে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সেই সময়ের চিন্তা সেই সময়ে করা যাবে। যারা পলিসি লেভেলে আছেন তারা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চালের দামটা স্থিতিশীল রাখতে পারলেই আমরা মনে করি আমাদের সাইট থেকে…। এটা বিশ্বব্যাপী বিষয়, এটার উত্তর আমি একা দিতে রাজি না।

তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে চালের দাম বেড়েছে। আমরা ভোক্তা অধিকারকে মাঠে নামতে বলেছি। আমাদের মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর থেকে ৫টি মনিটরিং কমিটি হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা যেন বাজারদর মনিটর করে এবং কোথাও যদি কোনো অবৈধ ধান বা চাল মজুত থাকে… আমাদের যে ক্রাশ প্রোগ্রাম চলে সেভাবে চলবে।

বাজারে চালের দাম আবার বাড়ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমরা আশাবাদী কারণ সামনে আমন উঠবে। সেই আউশ ওঠার জন্য আমরা বসে থাকব না, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আমাদের বোরো সংগ্রহের শেষ সময়। আমরা ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫০ লাখ পরিবার বা চার কোটি মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করছি। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি একসঙ্গে চালু হলে আমি মনে করি চালের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবে। আমাদের সরকারি মজুত আছে, আমরা তো মানুষের জন্যই মজুত করি। যারা এ চাল নিবে তাদের তো বাজার থেকে আর চাল কিনতে হবে না। সেখানে তো আমরা ভরসা করতেই পারি।

এখন চালের দাম বাড়ার কারণ কি- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখন দুটি মৌসুমের সন্ধিক্ষণ, বোরো চলে গেছে, আমন আসবে। অনেক জায়গায় খরার কারণে মানুষ আমন লাগানো নিয়ে ভয়-ভীতিতে আছে। এর সঙ্গে পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। পরিবহন খরচের হারের চেয়ে চালের দামটা বেশি বেড়েছে। সেখানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও আছে। এটা পরিষ্কার কথা, আমাদের অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে সেটাও আমরা মনিটরিং করছি। অবৈধ মজুতের বিষয়ে আমাদের তো নিয়মিত মনিটরিং আছেই। সেটা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে মাঠে নামতে বলেছি। পাঁচটি মনিটরিং কমিটি হয়েছে আগেই, সেগুলো সক্রিয় হবে। জেলা প্রশাসকদের এখানে বসেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যাতে বাজারটা পুরোপুরি মনিটরিং করেন। কোথাও অবৈধভাবে ধান ও চালের মজুত থাকলে আগে যেভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানো হয়েছে সেভাবে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়