মনজুর এ আজিজ : অর্থনীতির সব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থা বেশ নাজুক। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার প্রণীত সংস্কার কার্যক্রমগুলো ভালোভাবে মূল্যায়নের তাগিদ দিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান। শনিবার (২৫ অক্টোবর) মতিঝিলে ডিসিসিআই আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক’ শীর্ষক ফোকাস গ্রুপ আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আবুল কাসেম খান বলেন, দেশের এসএমইরা কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি, কিন্তু এ খাতের উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন আশানুরূপ নয়। ডিসিসিআই ইনডেক্স বিষয়ে তিনি বলেন, তথ্য বিশ্লেষণের বিষয়টি শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যে করলে হবে না, আমাদের প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে এর তুলনামূলক মূল্যায়ন জরুরি।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ পরিমাপের জন্য স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বেশকিছু সূচকের কার্যক্রম থাকলেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে পরিচালত হচ্ছে ও পরিবর্তিত হচ্ছে তার প্রকৃত চিত্র স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে না।
তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি-প্রকৃতির বাস্তবচিত্র উদঘাটনের মাধ্যমে বিদ্যমান অবস্থা উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে ডিসিসিআই ‘অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক’ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) মহাপরিচালক মো. নূরুল আলম বলেন, গবেষণা কার্যক্রমে তথ্য সংগ্রহে আরও সচেতন হতে হবে, যা প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়নে সহায়ক হবে এবং শিল্প সংশ্লিষ্ট সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা নির্ধারণের ওপর জোরারোপ করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে ঢাকা চেম্বারের মহাসচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. একেএম আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী বলেন, গবেষণার প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ঢাকা জেলার অর্থনীতিতে উৎপাদনশীল খাতের অবদান ৫৬ শতাংশ, সেবা খাতের ৪৪ শতাংশ। তিনি শিল্পের উন্নয়নে আইন-শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা পরিস্থিতির উন্নয়ন, শিল্পখাতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ, আর্থিক খাত সুসংহতকরণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও সুদের হার হ্রাস, বাণিজ্য সহায়ক অবকাঠামো সেবা নিশ্চিতকরণ, স্থানীয় পর্যায়ের সাপ্লাইচেইন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণ, আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ওপর ভ্যাট হার হ্রাস ও রাজস্ব প্রদানের প্রক্রিয়া সহজীকরণ প্রভৃতি বিষয়গুলোর প্রতি সরকারের সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।