শিরোনাম
◈ ‘ভারত ফের হামলা না করলে দায়িত্বজ্ঞানহীন কোনো পদক্ষেপ নেবে না পাকিস্তান’ ◈ ঈদের আগের দুই শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খোলা ◈ পুলিশের শীর্ষস্থানীয় ১৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ ভারত থেকে এভাবে 'পুশ–ইন' সঠিক নয়: নিরাপত্তা উপদেষ্টা ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ মার্কিন কৌশলগত স্বার্থের ক্ষতি করবে ◈ সোহান ও অঙ্কনের সেঞ্চুরি, নিউ‌জিল‌্যা‌ন্ডের বিরু‌দ্ধে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ এ’ দল ◈ ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত’ ◈ যে কারণে ভারত বনাম পাকিস্তান যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্র বনাম চীন যুদ্ধও! ◈ জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের প্রস্তাব ইসলামী আন্দোলনের ◈ ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:২৮ রাত
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির শুনানি ২৬ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন শিল্প ও ক্যাপটিভে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি প্রস্তাবের ওপর ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি গ্রহণ করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে ওই শুনানিতে অংশ নিতে চাইলে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নাম তালিকাভূক্ত করার জন্য বলেছে বিইআরসি।

গত ৬ জানুয়ারি বিদ্যমান গ্রাহকদের দর অপরিবর্তিত রেখে নতুন শিল্প কারখানার বয়লার ও শিল্প কারখানার জেনারেটরে (ক্যাপটিভ) সরবরাহ গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১.৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫.৭২ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে পেট্রোবাংলা। বিদ্যমান গ্রাহকদের অপরিবর্তিত রেখে প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের (ইতোমধ্যে অনুমোদিত) অর্ধেক বিল বিদ্যমান দরে, অর্ধেক ৭৫.৭২ টাকা হার নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড থেকে ১ টাকা দরে, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি থেকে ১.২৫ টাকা দরে, বাপেক্স থেকে ৪ টাকা দরে প্রতি ঘনফুট গ্যাস কেনা হয়। এরপর বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশ ও তাল্লোর কাছ থেকে কেনা গ্যাসের সংমিশ্রণে গড় দর দাঁড়ায় ৬.০৭ টাকা ঘনমিটার।

পেট্রোবাংলার দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রতি ঘনমিটার এলএনজির বর্তমান আমদানি মূল্য পড়ছে ৬৫.৭০ টাকা। ভ্যাট-ট্যাক্স ও অন্যান্য চার্জ যোগ করলে দাঁড়ায় ৭৫.৭২ টাকা। ফলে এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে হলে গ্যাসের প্রাইস গ্যাপ কমাতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এলএনজি আমদানি করলে চলতি অর্থবছরে পেট্রোবাংলার ঘাটতি হবে প্রায় ১৬ হাজার ১৬১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। প্রাইস গ্যাপ কমাতে হলে দাম বাড়ানো দরকার।

পেট্রোবাংলার দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, দেশীয় গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়ায় শিল্প ও ক্যাপটিভ বিদ্যুতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। সরবরাহকৃত গ্যাসের মধ্যে দেশীয় গ্যাসফিল্ডগুলো থেকে পাওয়া যাচ্ছে ৭৫ শতাংশের মতো, অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ এলএনজি আমদানি করে করা হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে এবং এলএনজি আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ২০৩০-৩১ অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৫ শতাংশে।

পেট্রোবাংলার প্রস্তাব পাওয়ার পর বিইআরসির পক্ষ থেকে বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। বিতরণ কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, পেট্রোবাংলা আমাদের কাঁধে বন্দুক রেখে দাম বাড়াতে চাইছে। গণশুনানিতে ভোক্তাদের মুখোমুখি হতে হবে আমাদেরকে। অথচ আমরা এই দাম বাড়ানোর সঙ্গে মোটেই একমত নই। আমরা যতটুকু জেনেছি মন্ত্রণালয়ের চাওয়া অনুযায়ী নতুন দর ফর্মুলা প্রস্তুত করা হয়েছে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে হয়েছে।

পেট্রোবাংলার দেওয়া গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছে বিইআরসি। ওই কমিটি কিছু তথ্য চেয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী গণশুনানি শেষে আদেশ দেওয়া হবে।

গ্যাসের এই দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সংগঠনগুলো তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তারা অবিলম্বে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবী জানিয়েছেন। ওই প্রস্তাব অনুমোদন হলে শিল্পায়ন বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, এই প্রস্তাব পাস হলে শিল্পায়ন থমকে যাবে। একটি অসম প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে। নতুন করে বিনিয়োগ আসবে না। কেউ ৩০ টাকা দিয়ে গ্যাস কিনবে আবার কেউ ৭৫ টাকা দেবে, যারা বেশি দামে কিনবে তারা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়